আওয়ার ইসলাম : সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবীর মূর্তী স্থাপন ইসলামী সভ্যতা ও মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা পরিপন্থী। তাই এদেশের তাওহিদী জনতা তা মেনে নিতে পারে না। মূর্তি হলো গজব ও ধ্বংসের প্রতীক। ইতিহাস প্রমাণ করে, ইতিপূর্বে যারা মূর্তীর পেছনে পড়েছে এবং মূর্তীর ভালবাসায় আকৃষ্ট হয়েছে তারা সকলেই নির্মমভাবে ধ্বংস হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের যৌথসভা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কার্যকলাপে মনে হচ্ছে সরকার একটি মহলের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে এদেশকে ইসলাম ও মুসলমান শূণ্য করার মিশনে নেমেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে তাদের এই দিবা স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
গতকাল শুক্রবার ১০ মার্চ’১৭ইং বিকাল ৪ টায় নগরের একটি মিলনায়তনে নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, সেক্রেটারী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক মুফতী জহির ইবনে মুসলিম, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক একে এম নাজমুল হক, সহ দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ডাঃ মুুজিবুর রহমান, আবুল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাসউদ বলেন, এই মূর্তিসংস্কৃতির হোতারা একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কার্য-কলাপ করে জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সুপ্রিমকোর্ট চত্তরে নারীর মূর্তী, রাজধানী ঢাকার মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তিস্থাপন করে দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশবাসীকে মূর্তীসংস্কৃতি চর্চার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যা দেশীয় সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বা বোধ বিরোধী। আমরা সুপ্রিমকোর্ট চত্তরের মূর্তীসহ সারা দেশে স্থাপিত সকল মূর্তিও ভাস্কর্য অনতিবিলম্ভে অপসারণ করার জোর দাবী জানাই। তা না হলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জনতার আন্দোলনের তীব্রতায় মূর্তীসংস্কৃতির ধারক-বাহকরা পালাতে বাধ্য হবে।
-এআরকে