রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাগল চুরির অভিযোগে দুই স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তারা ওই স্কুলছাত্রের পরিবারের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ বৃহস্পতিবার বালুকা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুল মোতালিব ও আবদুল লতিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া জানান, নির্যাতিত শিশু জার্জিসের পিতা জিয়াউর রহমান এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে। এছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার দুই স্কুলছাত্র হলো উপজেলার হাড়িয়াপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জার্জিস হোসেন ও পলাশবাড়ি গ্রামের সেকু আলীর ছেলে রতন। তারা দুইজন উপজেলার আমগাছী সাহার বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় ছাগল চুরি করার অভিযোগে জার্জিস ও রতনকে আন্দুয়া গ্রামে ধরে নিয়ে যান ঝালুকা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মোতালেব। পরে ওই গ্রামের রেজাউলের বাড়ির সামনে মোতালেব ওই দুই স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে মারপিট করেন। এরপর দুপুরে সেখানে সালিশ বৈঠক বসানো হয়। ওই সালিশে দুই ছাত্রের পরিবারের কাছ থেকে আট হাজার করে ১৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়। বৈঠকে ইউপি সদস্য আবদুল মোতালেব ছাড়াও ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডল ও আরেক ইউপি সদস্য মির্জা আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
এআর