ইমদাদ ফয়েজী: বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদ, মুফাচ্ছিরে কুরআন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী বলেছেন, 'একটা পোশাক তৈরি করতে হলে প্রাকটিক্যাল পেইজ পুরোপুরি অনুসরণ করতে হয়। সামান্যতম ব্যত্যয় ঘটলে তা রিজেক্ট হয়ে যায়।
আমরা আশরাফুল মাখলুকাত। আমাদের জীবন গঠনে কী কোনো প্রাকটিক্যাল পেইজ নেই? অবশ্যই আছে, আর তা হলো কুরআনে কারীম ও সুন্নাতে রাসূল সা.। মনগড়া, খেয়ালখুশি মতো নয়; রাসূলের সা. অনুকরণের মাধ্যমে কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলতে হবে।
এ উপলদ্ধি আমাদের না হলেও কাফের-মুশরিক, ইসলামের দুশমনদের হয়েছে ঠিকই। তাইতো আজ রাসূলের সা. সুন্নাত থেকে উম্মাহকে দূরে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, ইসলামি সংস্কৃতি সর্বোপরি রাসূলের সা. সুন্নাতকে পরিকল্পিতভাবে ঘৃণ্য করা হচ্ছে।
হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মগুরুদের পোশাকে আমরা কোনো জঙ্গি-নাটক দেখিনা কিন্তু; ইসলামি পোশাকে, আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা বারেবার দেখি। মানুষের মনে ইসলাম, ইসলামি আদর্শ ও রাসূলের সা. সুন্নাতের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির জন্য ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে।
কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন- "আল্লাহর ভালবাসা পেতে হলে রাসূলের সা. অনুসরণ করতে হবে।" রাসূলে কিবরিয়া সা. বলেছেন- "যে আমার সুন্নাতকে ভালোভাসলো, সে আমাকে ভালোবাসলো।"
মনে রাখতে হবে সময় কিংবা স্থানের দূরত্ব, প্রকৃত দূরত্ব নয়; রাসূলের সা. সুন্নাত থেকে দূরে থাকাই রাসূলের সা. সাথে দূরত্ব। এজন্যেই আজ বিশ্বব্যাপী উম্মাহকে সুন্নাতে রাসূল সা. থেকে দূরে রাখতে একের পর এক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। আর সময় নেই, আমাদেরকে সজাগ হতে হবে। আল্লাহর রহমত পেতে হলে রাসূলের সা. সুন্নাহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় জাতির পরিত্রাণ হবেনা। আমরা আল্লাহ ও রাসূলের ভালোবাসা লাভ করতে ব্যর্থ হবো।'
তিনি আরোও বলেন- 'হাবিবে কিবরিয়া মূর্তির মূলোৎপাঠন করেছেন। আজ সতেরো কোটি উম্মতের দেশে মসজিদের শহরসহ স্থানে স্থানে মূর্তি নির্মাণ করা হচ্ছে অথচ; মুসলমানরা নীরব। এটির বিরুদ্ধে লড়াই করা শুধু আলেমদের দায়িত্ব নয়; কালেমায় বিশ্বাসী সকল মুসলমান ঐকবদ্ধভাবে এটি প্রতিহত করতে হবে।'
আল-হাদী খেদমতে কুরআন পরিষদ সিলেট কর্তৃক শাবিপ্রবি সন্নিকটস্থ আখালিয়া নতুনবাজার মাঠে অনুষ্ঠিত ৪র্থ বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল তিনি একথাগুলো বলেন।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মমতাজ উদ্দীন বড়দেশী, মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ, মাওলানা ইসমাইল হোসেন বুখারী প্রমুখ।
এআর