তুরস্ক ও জার্মানি বিরোধে জরিয়ে যাচ্ছে। ছোট অভিযোগকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে এ বিরোধ। এখন সেটি ক্রমেই বড় হচ্ছে।
এই বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শুরু হয়েছে। প্রথমে জার্মানিতে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সমর্থনে জনসভা করতে না দেয়ায় আঙ্কারায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল তুরস্ক সরকার। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এক জার্মান সাংবাদিককে আটক করার প্রতিবাদে বার্লিনে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত তলব করা হয়।
এ ঘটনায় জার্মান সফর বাতিল করেছেন তুরস্কের এক মন্ত্রী।
আগামী ১৬ এপ্রিল তুরস্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যেখানে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে জনগণ তাদের মতামত জানাবে।
ওই গণভোটে এরদোগানের পক্ষে জার্মানিতে একটি জনসভা করার অনুমতি দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ ব্যাপারে আঙ্কারার লিখিত অভিযোগ তুলে দেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমেত কেমাল বোজাই।
জার্মান সাংবাদিককে আটক করার প্রতিবাদে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্লিনে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত হুসেইন আভনিকে তলব করে। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল ওই আটককে ‘তিক্ত ও হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এখন দেখার বিষয় ঘটনা কতদূর গড়ায়।
এআর