সুলতানি আমলের এক মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেল নীলফামারীতে। বৃহস্পতিবার আটশ' বছরের পুরানো ৪২গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের সন্ধান পেয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের সতীশেরডাঙ্গায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খনন করে এই প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান পায়।
ইত্তেফাকের এক খবরে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গত নভেম্বর থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক মোছা. নাহিদ সুলতানার নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ধর্মপাল ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল ও সতীশেরডাঙ্গা খনন কাজ শুরু করে। এতে পাল বংশীয় নিদর্শন উদ্ধার করেন তারা। পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নে সতীশেরডাঙ্গায় খনন কাজ শুরু করে সুলতানি আমলের ৩০টি পিলার সন্ধান পান।
খনন কাজে নিয়োজিত পাহাড়পুর কস্টোডিয়ান ছাদেকুজ্জামান জানান, ২৪.৭৬ ও ২০.৫৭ মিটার পরিমাপের ৪২গম্বুজ বিশিষ্ট ৩০টি পিলারের ১২০০খ্রিস্টাব্দে সুলতানি আমলের একটি মসজিদের ভিত্তি নকশা আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদ বড় প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আর পরবর্তীতে যশোরের বারো বাজার সাতগাছিয়া গায়েবানা মসজিদটি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া সতীশেরডাঙ্গা এলাকার ৪২ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাস্থান যাদুঘর কস্টোডিয়ান মুজিবুর রহমান, তাজহাট জমিদার বাড়ী কস্টোডিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভীরুল, মহাস্থান যাদুঘর অ্যাসিস্ট্যান্ট কস্টোডিয়ান এস.এম হাসানাত বিন ইসলাম, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান, কামরুল আলম কবির। অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় নীলফামারী-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংস্কৃতিক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, এই এলাকায় এসব প্রাচীন নিদর্শনগুলো নিয়ে একটি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
আরআর