মোঃ রুহুল আমিন খান, জবি, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এম এ ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও বি এ অনার্স ২০১৬-১৭১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জবি অডিটোরিয়ামে অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আব্দুল অদুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সেলিম ভূঁইয়া, শাহ মু নাদিমুর রশিদ ও কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মাদ সেলিম।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার খায়রুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল আলোচনা পেশ করেন অধ্যাপক ড.আবুল কালাম আজাদ।
ড. আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য যেমন উদ্যোক্তা তৈরি করা, তেমন বিশ্বমানের শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত জাতি গঠন করাও শিক্ষার উদ্দেশ্য। একইভাবে নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠন করা শিক্ষার উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে নৈতিকতার মূল উৎস ধর্ম। সুতরাং ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতাসম্পন্ন সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠন করা সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.মীজানুর রহমান বলেন, শুধু মসজিদের ইমামতির জন্যই ছাত্ররা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করে না। বরং তারা ইসলাম ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমন্বয় সাধন করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মরত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীর কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের শুধু ইসলামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। তাদের উপলব্ধি করতে ইসলাম ছাড়া তারা আর কি জানেন?
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ড. সেলিম ভূঁইয়া নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার কারণে নিজের ছোট মনে কর না। মনে রাখবে দুই লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৭০০ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। তাদের মধ্যে তুমি একজন।
-এআরকে