যুবাইর ইসহাক : সকাল দশটা। হলের ভিতর প্রায় ৪০ জন তরুণ অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন। সবার হাতে খাতা কলম। কারো কাঁধে ব্যাগও। ওরা জড়ো হয়েছে দিনব্যাপী সাহিত্য ও সাংবাদিকতা কমর্শালায় অংশ নেয়ার জন্য।
গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি 'হাতিখড়ি' উধ্যোগে বাহুবল উপজেলার হলে একটি কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল এগারোটা সৈয়দ অানোয়ার আব্দুল্লাহর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথমে 'হাতেখড়ি' সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন নিযামুদ্দীন মিসবাহ। তিনি উপস্থিত তরুণদের সামনে হাতেখড়ির সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে অালোচনা করেন ।
তারপর ফিচার ও কলামের উপর বক্তব্য দেন বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম এর সিনিয়র নিউজরুম এডিটর মুফতি এনায়েতুল্লাহ। অল্প সময়ে গুছানো বক্তব্য দ্বারা ফিচারের সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত হন তরুণরা। তিনি সঙ্গে কিছু নোটও করে দেন।
অালোচনা করেন ঢাকা টাইমস এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, জহির উদ্দির বাবর। তিনি মিডিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন।
জহরের পর শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। বক্তব্য পেশ করেন অনুবাদক ও শিশুসাহিত্যিক, ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী। তিনি একজন অনুবাদকের বৈশিষ্ট্য ও অনুবাদের উপর অালোচনা করেন।
একটু পরই সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন, কথাসাহিত্যিক, লেখক ও অনুবাদক , মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীন। হাসামাখা মুখে করতে থাকেন আলোচনা। কীভাবে সাহিত্যে ঢুকতে হবে। কেন সাহিত্য করতে হবে। সাহিত্য কী? এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অভিজ্ঞতার অালোকে। গতিশীল লেখা ও উপযুক্ত শব্দ দ্বারা এগিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন তরুণদের। এছাড়াও নিয়মিত লেখা ও পড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে বলেন।
কথা বলেন তরফ রত্ম সৈয়দ আব্দুল্লাহ। তিনি নিজের এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান রাখার কথা বলেন। মুহিউদ্দীন খাঁন সাহেবের কথা উল্লেখ করে ব্যথিত হন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রসাশন ও জেলা সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাহফুজ তাহমিদের একটি কবিতার বইয়ের স্মারক উন্মোচন হয়।
এই অনুষ্ঠান ছিলো বাহুবলের প্রথম সাহিত্য ও সাংবাদিকতার কর্মশালা অনুষ্ঠান। প্রবল আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তরুণরা। এবং কিছু দিকনির্দেশনা নিয়ে ফিরেন সবাই।
আরআর