আওয়ার ইসলাম : কক্সবাজারে এক অটোরিক্সা চালককে অমানবিকভাবে মাঝরাস্তায় সিজদা করানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই তৌহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বরখাস্ত পত্রে স্বাক্ষর করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন।
পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, একজন কর্মকর্তা হয়ে এসআই তৌহিদের আচরণ বড়ই অমানবিক ঠেকেছে। তাই ঘটনা জানার পরই তাকে পেকুয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপরই গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদন ও স্থির চিত্রে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসপি আরও বলেন, ‘তৌহিদের মতো গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের সেবক বাহিনীর ঐতিহ্য কোনো মতেই ভূলুণ্ঠিত হতে দেয়া যায় না। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এসআই তৌহিদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে কৃতকর্মের সাজা দেয়া হয়েছে। অন্যায় আচরণ করলে কেউ ছাড় পাবে না।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পেকুয়া চৌমুহনী চৌরাস্তায় ট্রাকচালক মীর কাশেমকে অসংখ্য মানুষের সামনে মাঝরাস্তায় সিজদা করান এসআই তৌহিদুল ইসলাম। মীর কাশেমের অপরাধ ছিল মোড় ঘুরতে তিনি পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদের খুব কাছ দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেছেন। গাড়ি থামানোর পর হাতজোড় করে ক্ষমাও চান চালক মীর কাশেম। কিন্তু এতেও মন গলেনি ক্ষমতাধর এসআই তৌহিদের।
তিনি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মীর কাশেমকে মাঝ রাস্তায় সিজদা করতে বাধ্য করান। এরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি নজরে এলে সন্ধ্যায় ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
-এআরকে