হাবিব বিন আজাদ: ইসলামবিদ্বেষিরাই জঙ্গিবাদের মদদদাতা বলে মন্তব্য করেছেন সি.এম.পি (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ।
তিনি বলেন, ইসলাম বলে তুমি যদি থাক পরিতৃপ্ত আর তোমার প্রতিবেশী থাকে ক্ষুধার্ত, তাহলে তুমি পরিপূর্ণ মুসলমান নও। যে ধর্মে এমন শিক্ষা দেওয়া হয়, সেখানে সন্ত্রাসের প্রশ্নই আসে না। আজ যারা জিহাদের নামে সন্ত্রাস করে, তারা মূলত ইসলামকে বুঝেই নাই। যেখানে অন্যায় ভাবে একটি প্রাণীকে হত্যা করা পর্যন্ত হারাম, সেখানে মানব হত্যার তো প্রশ্নই আসে না। আজকে যারা সন্ত্রাস করে সারা বিশ্বে অরজাকতা সৃষ্টি করছে, আমাদের চিন্তা করতে হবে এরা কারা? তাদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে কে? কোরআন-হাদিসে যাদেরকে মুসলমানের শত্রু বলা হয়েছে, তারাই অর্থাৎ ইহুদীবাদী চক্র ইসরাইলই বিপদগামী কিছু মুসলমানকে বিভ্রান্ত করে ইসলামকে জঙ্গিবাদের ধর্ম, আর মুসলমানকে জঙ্গি হিসাবে পরিচয় করাতেই তাদের এই ষড়যন্ত্র। তারা ইসলামকে মুসলমানের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চায়। তাই আমাদের এসব থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মা'আরিফ আল-ইসলামিয়া'র হল রুমে জামেয়া দারুল মা'আরিফ কর্তৃক আয়োজিত ‘ জঙ্গিবাদ, মাদক ও ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে অনেক নিয়ামত দিয়েছেন। তারমধ্যে সবচে' বড় নিয়ামত আমি একজন মুসলমান। আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে মুসলমান বানিয়েছে।
তাই যারা এই নিয়ামত পায়নি, আমরা তাদের কোনভাবে ঘৃণা করতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, আজকে আরাকানে যখন মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চলছে, তখন কেউ তাদের জঙ্গিবাদী বলে আখ্যায়িত করে না। কারন যারা এসব করছে, আর যারা করাচ্ছে সবাই ইসলামকে দুনিয়া থেকে মুছে দিতে চায়।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে জামেয়া দারুল মা'আরিফ আল-ইসলামিয়া'র উপ-পরিচালক, সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ ফুরকানুল্লাহ খলিল বলেন, আজ কেউ বলছে দেশ বিপন্ন, আবার কেউ বলছে ইসলাম বিপন্ন। আমি বলবো দেশ ও ইসলাম কিছুই বিপন্ন নয়। বরং বিপন্ন কিছু তথাকথিত মুসলমান। তাই আমাদের ঈমানকে শানিত করে ইসলামকে জানতে হবে। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করতে হবে। এই সচেতনতা তৈরি করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, চাঁদগাও থানার ইনচার্জ জনাব সাইফুল আলম, চাঁদগাও থানার পুলিশ পরিদর্শক জনাব রাশেদুল হক, জামেয়া দারুল মা'আরিফের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা শহিদুল্লাহ কাউসার সহ জামেয়া সর্বস্তরের শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ।
আরআর