সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর: একজন স্বৈরাচার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমার মন্দ লাগে না। তার সুতীব্র জাতীয়তাবাদেও দারুণ আমোদ ফিল করি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয়তাবাদের পর্দার আড়ালে তার এই যে ডিফেন্সিভ মুড, এটা কিন্তু একটা ভয়াবহ সত্যকে ন্যাংটো করে দিয়েছে। সত্যটা হলো— আমেরিকা যতোই হম্বিতম্বি করুক, ভেতরে ভেতরে আমেরিকা আসলে ফুরিয়ে এসেছে। পৃথিবীজোড়া ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে নিজের লুঙ্গি কখন খুলে গেছে, আমেরিকা টের পায়নি। ট্রাম্প নিজের ফরজ ঢাকার ছুতোয় স্লোগান তুলেছে— গ্রেট আমেরিকাকে তিনি আবার গ্রেটের আসনে সমাসীন করবেন। বুঝাই যাচ্ছে— তিনি এ্যাটাকিং মুড থেকে আমেরিকাকে পুরো ডিফেন্সিভ মুডে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা সে সত্যকেই খোলাহাটে প্রকাশ করে দিয়েছে।
ইবনে খালদুনের থিউরি অনুযায়ী— একেকটা সুপারপাওয়ারের ব্যাপ্তিকাল ১০০ বছর স্থায়ী হয়। সে হিসেবে আমেরিকার পতনকাল শুরু হয়ে গেছে। ট্রাম্প গ্রেট আমেরিকা নির্মাণের আড়ালে সে পতনের গ্রাফকে লুকানোর চেষ্টা করছেন মাত্র।
এখন দেখার বিষয় হলো— আগামী বিশ্বে নতুন সুপারপাওয়ার হিসেবে কে উঠে আসে। চীন অথবা ভারত হয়তো সম্ভাব্য তালিকায় সবার উপরে থাকবে। আরব যদি এ্যাটাকিং মুডে থাকতো, তবে তাদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আর কেউ থাকতো না। এরদোগানের তুরস্ককেও তালিকার উপরের দিকেই রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে এরদোগান বেশ এ্যাটাকিং।
যাকগে, তুরস্ক নিয়ে নিয়ে কিছু কথা আরেকদিন বলবো।
ফেসবুক টাইমলাইন থেকে