লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামী আবু তাহেরকে (৫৫) গলাকেটে করে হত্যা করেছে স্ত্রী। পরে লাশ গুম করতে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের পূর্ব চরপাতা গ্রামের রেহান উদ্দিন জমাদার বাড়ি পাশে সেফটিক ট্যাংক থেকে স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবু তাহের রায়পুর উপজেলার পূর্ব চর পাতা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গত বুধবার স্ত্রী তার সহযোগীদের নিয়ে স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে।
শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই থানায় নিখোঁজের জিডি (সাধারণ ডায়বি) করলে পুলিশের তদন্তে ধরা পড়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্ত্রী। পরে স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য। উদ্ধার হয় মৃতদেহ।
তবে তদন্ত ও গ্রেফতারের স্বার্থে হত্যায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৬/১৭ বছর আগে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে আবু তাহেরের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলোহ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে বুধবার থেকে তার ভাই নিখোঁজ। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিলেও সন্ধ্যান মিলেনি। যে কারণে শুক্রবার সকালে রায়পুর থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রি) করি। জিডি করার পর পুলিশ তদন্তে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। এতে সহযোগীদের নিয়ে স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করার দায় স্বীকার করে সে। পরে তার তথ্যমতে সেফটিক ট্যাংক থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরআর