আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে আয়োজিত ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ, মাদক একটা মানুষকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয়। মাদকাসক্তি শুধু একজন মানুষকে নয়, একটা পরিবারকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আর জঙ্গিবাদ নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় এটা একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এই সমস্যার উৎসটা কী? আমরা ধর্মে বিশ্বাস করি। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের স্থান নেই। মানুষ খুন করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না।’
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ হওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ‘তারা কীভাবে একটা ভালো ও অর্থশালী পরিবারের সন্তান হয়েও জঙ্গিাবাদের পথে যেতে পারে! কীসের আশায়? জঙ্গিবাদের পথে গেলেই বেহেশেতে যাবে? যারা গেছে তারা কি তাদের খবর পাঠিয়েছে তারা বেহেশতে গেছে? সেই খবর তো কেউ দিতে পারেনি। ’
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের স্থান হবে না।’
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরআর