আওয়ার ইসলাম: তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুসালেমে স্থানান্তরের ব্যাপারে ইসরায়েলে থাকা মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে হোয়াইট হাউজ।
ইসরায়েলি একজন মন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের যে নির্বাচনী প্রতিজ্ঞা ছিল তা পূরণের প্রাথমিক ধাপ শুরু হলো।
জেরুসালেমকে ইসারায়েলিরা নিজেদের জাতীয় রাজধানী দাবি করলেও, এই শহরকে ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের বলে দাবি করে।
সদ্য শপথ নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এমনকি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময়েও সেই ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।
অনেকের মনে হতে পারে যে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিবে হলো, না কি জেরুজালেমে এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কিন্তু বিবদমান পক্ষগুলোর কাছে এটা মোটেও তুচ্ছ ব্যাপার নয়।
এর সাথে জড়িয়ে আছে পূর্ব জেরুসালেমের মর্যাদার প্রশ্ন- যা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং জটিল এক ব্যাপার।
তিনটি ধর্মের কাছে পবিত্র এই প্রাচীন নগরী জেরুসালেম। কিন্তু এর কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে শহরটি অনেকবার অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞ, দখল-পুনর্দখলের শিকার হয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুসালেম- কিন্তু ইসরায়েলের দাবি, পূর্ব ও পশ্চিম জেরুসালেম মিলিয়ে পুরো শহরটিই তাদের রাজধানী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রই জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ এবং বসতি নির্মাণও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নয়।
মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তর করবেন বলেও এক ধরনের অঙ্গিকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রবিবারে, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনার একেবোরেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন।
জাতিসংঘের রেজুলিউশনের পর মি. ট্রাম্প ইসরায়েলকে সাপোর্ট করে টুইট করে বলেছিলেন, ইসরায়েলকে 'অবজ্ঞা ও অসম্মান'এর সাথে আচরণ করাটা তিনি ভালোভাবে নেবেন না।
তখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা-গ্রহণ করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে 'শক্ত' থাকার জন্যও আহ্বান করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র: বিবিসি বাংলা