[caption id="attachment_17833" align="alignleft" width="500"] ফাইল ছবি[/caption]
পটিয়া: চট্টগ্রামের পটিয়ায় ওরস মাহফিলের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বুধবার গভির রাতে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ১৯ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
জানা যায়, পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের আলমদারপাড়ায় হযরত মুখলেছুর রহমান শাহ রহ. এর বার্ষিক ওরশ শরীফ চলছি। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছেন ওরসে।
পুলিশের গুলিতে আহত আবু তাহের মনছুরের ছেলে সিফাত আলমদার (২০) ও মো. ইউছুপের ছেলে মুন্না তালুকদার (২০)। গুলিবিদ্ধ অপর দু’জন হচ্ছেন শফিউল আলম (১৫) ও তারেক হোসেন (১৭) ।
এছাড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন পটিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল আবু তালেব, রিপন দাশ ও মোনাইম হোসেনসহ ১২জন আহত হন।
এদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে ডান চোখে গুরুতর জখম হওয়া সিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ওরস মাহফিল এলাকা থেকে পুলিশ মাতাল অবস্থায় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নাসির উদ্দিন আলমদারকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ওই স্থানে বার্ষিক ওরস মাহফিল হয়। আয়োজক হিসেবে দুটি পক্ষ থাকে প্রতিবছর।
বুধবার মাহফিল চলাকালে এক পক্ষের খাদেম মাস্টার আবদুল গণি ও অপরপক্ষের খাদেম নুরুল আলম তালুকদারের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। মহিষ নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়। গুলিবিদ্ধ হয় মুন্না, শফিউল, সিফাত ও তারেক। এতে ওরস মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়।
মাজারের খাদেম মাস্টার আবদুল গণি বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা বার্ষিক ওরস মাহফিল করে থাকি। একটিপক্ষ প্রতিবছর বিভিন্ন ইস্যুতে ওরস মাহফিলে ঝামেলা সৃষ্টি করে। এবার তারা মাজারের পাশের জায়গা দখল ও ওরস মাহফিলের কর্তৃত্ব নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।’
পটিয়া থানার অফিসার ওসি শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। দুই পক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে তার থানার তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
এআর