মুফতি মনোয়ার হোসাইন
ইমাম ও শিক্ষক
নারী বক্তা! নারীদের মাহফিলে ওয়াজ করেন। পুরুষ বক্তাদের মতই মাহফিলে মাহফিলে ব্যস্ত তিনি। কদরও বহুত। ভিজিটও মন্দ না। বাজার বুঝে স্বামী বেচারা তাকে দ্বীনের খেদমতে (?) লাগিয়েছেন। মায়াবি কণ্ঠের ওয়াজ রেকর্ডও হয়, ইউটিউবে সুন্দরী বোরকা পড়া নারীর ছবি দিয়ে আবেদনময়ী ওয়াজ শুনার দাওয়াত দেয়া হয়।
কোন এক মাহফিলে (বাস্তব) মহিলা বক্তা তার নির্ধারিত সময়ে আসতে পারে নি। জুহর পড়ে গ্রামের শত শত নারী অপক্ষা করছে তার বয়ান শুনতে। পড়ন্ত বিকেলে আসলেন। ওয়াজ শুরু করলেন। আছর গড়িয়ে মাগরীব আসলো আসর নামাজ পড়ার সুযোগ দিতে পারলেন না দ্বীনের জন্য ওয়াজকৃত নারী। ফলে, দ্বীনের কথা শুনতে শুনতে আছর ক্বাজা! কী আর করার ‘আখেরী’ মুনাজাত মাগরীবের ওয়াক্তে। কেঁদে কেঁদে (না-কি কান্দার সুরে) আল্লাহকে বলছেন- আয় আল্লাহ, ‘তোমার দ্বীনের আলোচনা করতে যেয়ে আমাদের আসর নামায পড়া হলো না’ তুমি আমাদের মাফ করে দিও...
ওয়াজ মাহফিল কোথায় যেয়ে ঠেকছে প্রিয় পাঠক? কী হওয়া উচিত এগুলোর। মানুষের ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে এগুলো দেখে। উত্তরাঞ্চলে এমন এক নারী বক্তা ছিল এখন আরেকজন তৈরী হয়েছে। স্বামী বেচারা পান খেয়ে মুখ গুল গুল করে ঘুরে বেড়ায় এখন। উনার অবস্থা পোয়া বারো। ক’দিন আগেই সংসার চলে নি। এই যখন অবস্থা তখন কে বা কারা একবার মহিলা বক্তাকে থাপড়াইছিলো। বখাটেপনা করা ছেলেদের এ কাণ্ডকে তখন অনেকেই খারাপ বলে নি।
এমন দ্বীনের প্রচার হতে থাকলে উম্মতের হালাত কোথায় দাড়াবে? আল্লাহ আমাদের বোধোদয় করুন। আমীন।
লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে