আওয়ার ইসলাম: দাঁত মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়। দাঁত ছাড়া ভাবা যায় না স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। কিন্তু কিছু দাঁত কোন কাজেই আসে না। উল্টো ক্ষতি করে বসে। আসুন জেনে নিই সেই দাঁত সম্পর্কে।
আ্ক্কেল দাঁত মাঝে মাঝে ঠিকভাবে উঠতে পারে না। কোনো কোনো সময় আক্কেল দাঁত আংশিক উঠে আর বাকি অংশ মাড়ির ভেতরে থাকে। এ ধরনের আক্কেল দাঁতকে প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত বলা হয়।
আক্কেল দাঁত খাবার গ্রহণ, খাবার চর্বণ বা কথা বলার কোনো কাজে ভূমিকা রাখে না। এ কারণেই চিকিৎসকরা আক্কেল দাঁত ফেলে দিতে বলেন। কিন্তু অনেকেই আক্কেল দাঁত ফেলতে চান না। আবার অনেক সময় আক্কেল দাঁত যে কোনো কাজে আসে না, এ কথা কোনোভাবেই রোগী বুঝতে চান না।
ফলে এ প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিচের চোয়ালের দ্বিতীয় মোলার দাঁতকে মধ্যরেখা বরাবর ধীরে ধীরে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর ফলে নিচের চোয়ালের সামনের দাঁতের ক্রাউডিংয়ের কারণে সামনের দাঁত আঁকাবাকা হতে শুরু করে। সামনের দাঁত আঁকাবাকা হওয়ার কারণে মুখের সৌন্দর্যহানি ঘটে। তখন অর্থোডন্টিক চিকিৎসা ছাড়া আর বিকল্প উপায় থাকে না।
একইভাবে ওপরের আক্কেল দাঁতের চাপ প্রয়োগের কারণে সামনের আক্কেল দাঁতগুলো সামনে চলে আসে। ওপরের চোয়ালের দাঁত এবং নিচের চোয়ালের দাঁতের স্বাভাবিক রিলেশন নষ্ট হয়। তাই এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত আক্কেল দাঁত এবং মুখের সৌন্দর্যের জন্য ক্ষতিকারক দাঁত অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে ফেলে দেয়া উচিত। আবার মুখের অভ্যন্তরে যদি ধারালো দাঁত থাকে যা জিহ্বা ও মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে প্রাথমিকভাবে ওই ধারালো দাঁতকে জুডিশিয়াল গ্রাইন্ডিংয়ের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে যদি ঠিক না করা হয়, তবে তা মুখের আলসার থেকে দীর্ঘ সময় ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে।
যদি ওপরের আক্কেল দাঁত ঠিক জায়গায় না ওঠে তাহলে তা নিচের চোয়ালে মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় শিশু দাঁত নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তাই দাঁত যেমন উপকারী, তেমনি কখনও কখনও ক্ষতির কারণও হয়ে উঠতে পারে। একটি কথাই সবার মনে রাখতে হবে, দাঁত যেন কোনোভাবেই মুখে আলসার সৃষ্টি করতে না পারে।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
০১৮১৭৫২১৮৯৭
ডিএস