আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৮ বন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার গহীণ পাহাড়ি এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গড়ে তোলা রোহিঙ্গাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেরার পথে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উখিয়ার থাইংখালী বনবিট ও সদরে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান, উয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস, উখিয়ার ঘাট বিট কর্মকর্তা মোবারক আলী, মোছার খোলার বিট কর্মকর্তা মাসুদ সরকার, দোছড়ী বন বিট কর্মকর্তা আমির হোছেন গৌজনবী, উখিয়া সদর হেডম্যান মো. ইব্রাহিম, বনকর্মী তরিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দমন-নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে অসংখ্য রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে ক্যাম্পের আশপাশের গহীণ পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ খবর পেয়ে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের অন্তত দেড়-কিলোমিটার দূরুত্বের দক্ষিণে গহীণ পাহাড়ি এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গড়ে তোলা বসতিতে একদল বনকর্মী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে রোহিঙ্গাদের গড়ে তোলা অন্তত ৮০টির বেশি ঝুপড়ি ঘর বনকর্মীরা গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযান শেষে ফেরত আসার সময় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান নেওয়া ২/৩ শত অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ইন্ধনে বনকর্মীদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বনকর্মীরা ১ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে।’ এ ঘটনায় আহত বনকর্মকর্তারা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান মনিরুল।
হামলায় আহত উখিয়া সদর বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, ‘এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের একজনকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। সেখানে কারও নাম উল্লেখ করেনি। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
আরআর