এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আমীরুল মুজাহিদীন সৈয়দ মুফতি রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই'র বয়ানের মাধ্যমে উদ্বোধন হলো চট্টগ্রামের তিন দিনের মাহফিল।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ বাদ জোহর বিশাল মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালের মুক্তির জন্য আল্লাহ ওয়ালাদের সান্বিধ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আল্লাহর ওলীর বেশ ধরে কিছু শরিয়ত পরিপন্থি ভণ্ড পীর তাসাউফের পবিত্র রাস্তাটিকে কলুষিত করছে। আর কিছু অবুঝ মানুষ ভণ্ডদের কার্যক্রমে তিক্ত হয়ে না বুঝে তাসাউফের বিরোধিতা করছে। উভয়ই ভুলের মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, সঠিক আল্লাহ ওয়ালা হতে হলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামকে অনুসরণ করতে হবে। আমি যদি শরিয়ত পরিপন্থি কিছু করি তাহলে আমাকে পীর মানা আপনাদের জন্য ভুল হবে।
আজ বাদ জোহর অনুষ্টিত বয়ানে হাজারো জাকিরিনের জিকির ও রোনাজারিতে কানায় কানায় ভরে উঠে পলোগ্রাউন্ড মাঠ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর প্রচার সম্পাদক ও মাহফিলের মিডিয়া সমন্বয়ক মু সগীর আহমদ চৌধুরী থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলের নমুনায় মাহফিলটি প্রতি বছর নগরীর আগ্রাবাদস্থ জাম্বুরী মাঠে হলেও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতদত্ত মাঠে উদ্যান নির্মাণ করায় এ বছর মাহফিলটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্টিত হচ্ছে।
মাহফিলে পীর সাহেব চরমোনাই প্রতিদিন বাদ ফজর ও বাদ এশা মিলে ৬টি বয়ান করবেন ও শায়খুল হাদিস মুফতি ফয়জুল করীম ৭ তারিখ সকালে বয়ান করবেন।
বয়ানের বিষয়ের মধ্যে থাকবে প্রথম দিন শরিয়ত, দ্বিতীয় দিন তরিকত ও তৃতীয় দিন সমসাময়িক আলোচ্য বিষয়াদি। এছাড়া আগামিকাল জুমার পুর্বে সাধারণ বয়ান ও জুমার ইমামতি করবেন পীর সাহেব চরমোনাই।
৮ জানুয়ারি ফজর নামাজের পর মুনাজাত অনুষ্টিত হবে। মাহফিল পরিচালনা কমিটি থেকে জানা যায় মাহফিল নির্বিঘ্ন করতে মাঠের আশে পাশে শতাধিক সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পাচ শতাধিক শৌচাগার, ও অযু ইস্তেঞ্জার জন্য এক লাখ কিলোমিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি পানির ট্যাং স্থাপন করা হয়েছে। মাহফিলের শৃঙ্কলার জন্য ১২০০পুরুষ সেচ্ছাসেবক ও নারী প্যান্ডেলে ২০০ সেচ্ছাসেবিকা নিযুক্ত রয়েছে।
মাহফিল পরিচালনা কমিটি আরো জানান, প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিশাল মাঠে পুরুষদের জন্য ৬০হাজার বর্গ ফুট ও নারীদের জন্য খাছ পর্দা সহকারে ৮০ হাজার বর্গ ফুট আলাদা আলাদা শামিয়ানা করা হয়েছে। নারীদের শামিয়ানায় থাকবে অযু ও ইস্তেঞ্জার ব্যবস্থা, ইসলামি বইয়ের স্টল ও হিজাব, বোরকাসহ নানা ধর্মীয় পোশাকাদির দোকান।
এছাড়াও মাঠের পাশে ৩০০ এর অধিক স্টল সম্পন্ন দেশের সর্ব বৃহত ইসলামি বই মেলা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
অন্যান্য কর্মসূচি
মাহফিলের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংগঠগুলো।
কর্মসুচীগুলোর মধ্যে থাকবে ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্দোগে শ্রমিক সমাবেশ, বাদ জোহর ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্দোগে ছাত্র গণজমায়েত, বাদ আসর ইসলামি আইনজীবি পরিষদের আইনজীবি সমাবেশ।
৭ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম নগরের উদ্দোগে ওলামা ও সুধী সমাবেশ।
আরআর