আওয়ার ইসলাম: মেহেরপুরের গাংনীতে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন গাংণী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ।
আ.লীগ নেতা মামুনুর রশিদ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হতে না পেরে গতকাল রোববার সকাল ৯টার সময় বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন উপজেলার দেবীপুর ডি জে এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পৌর এলাকার শিশিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে।
আহত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনুর রশিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
আহত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে স্কুলে যাওয়ার পথে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে ঝোড়াঘাট গ্রামের মাবছুল ইসলামের ছেলে ও বামুন্দী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ তাকে থামিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশারের উপস্থিতিতে নির্বাচিত সদস্যরা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাকীকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। সভাপতি হতে না পারার জের ধরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন মামুনুর রশিদ। এদিকে আহত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অভিযুক্ত মামুনুর রশিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বামুন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, মামুনুর রশিদ বামুন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, হাতুড়ি দিয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে পিটুনির বিষয়টা লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ডিএস