আওয়ার ইসলাম: সদ্যসমাপ্ত নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিবেন বলে এক ভোটার কুরআন শরীফ ও মসজিদ ছুঁয়ে শপথ করেছিলেন।
তবে ওই শপথের পরও তিনি ভোট দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোট না দেয়ার অভিযোগে পরাজিত হয়ে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা।
জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী, পুরুলিয়া ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ফ্যান প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পুরুলিয়া ইউনিয়নের সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া।
বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিলায়েত হোসেন, চম্পা বেগম ও হুমায়ুনসহ ১১ জনকে ২০ হাজার টাকা দেন।
এছাড়া পুরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ শেখ, মুরাদ, কোবাদ, রবিউল ইসলাম, সালমা বেগম, সালেহা বেগম এবং চাঁচুড়ী ইউনিয়নের দুই সদস্যকে ২০ হাজার টাকা করে দেন। কিন্তু ভোট পেয়েছেন মাত্র ৫টি।
এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ভোটের পরদিন ওইসব সদস্যদের চাপ দিয়ে তাদের কাছে টাকা ফেরত চান। চাপের মুখে বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিলায়েত হোসেন, চম্পা বেগম ও হুমায়ুনকে দেয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত নেন। এছাড়া অন্যান্যদের দেয়া টাকা ফেরতের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়ার পক্ষে কাজ করা পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি বলেন, 'সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়ার নিকট থেকে অনেক ইউপি সদস্য টাকা নিয়ে ভোট দেয়নি। তাদের বিষয়টি খতিয়ে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন টাকা ফেরত দিয়েছেন।'
এ প্রসঙ্গে সারোয়ার হোসেন ভুঁইয়া টাকা দেয়া ও ফেরত নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।