আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মরহুম পীর সাহেব হুজুর এনজিওদের ইসলামবিরোধী শিক্ষার মোকাবেলা করতে সারাদেশে কুরআনের বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুরআন শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কওমি শিক্ষাধারার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে অবিলম্বে কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদানের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। কওমি সনদের স্বীকৃতির দাবিতে এদেশের সকল ওলামায়ে কেরাম এখন এক বিন্দুতে ঐক্যবদ্ধ। স্বীকৃতি নিয়ে সরকার টালবাহানা ও নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কঠিন আন্দোলন গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে ২৮ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে কওমি মাদরাসার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মাদরাসা প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অতীতের সরকারগুলো কওমি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বহু তামাশা করেছে। অনেক ষড়যন্ত্র চক্র্ন্ত হয়েছে, কিন্তু কারো ষড়যন্ত্র- চক্রান্তই টিকে নাই। এদেশের কওমি মাদরাসাগুলো জনগণের সহযোগিতা নিয়ে টিকে আছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এদারায়ে কওমীয়া বোর্ডের মহাসচিব শায়খ মুফতি জাকারিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, বেফাকুল মাদারিসিদ দিনিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাস্ঊদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, বেফাক দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতী মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রামের হাফেজ মাওলানা তৈয়্যব, নির্বাহী সভাপতি মুফতী সৈয়দ নুরুল করীম, মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বিশিস্ট আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সদস্য সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বোর্ডের সিনিয়র প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মাওলানা মিজানুর রহমান নোমানী।
আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ইসলামবিরোধী শিক্ষা জাতির মেরদন্ড ভাঙ্গার প্রথম হাতিয়ার। তাই কুরআন শিক্ষাবোর্ড গঠন জাতির মেরুদন্ড, ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার নিরব বিপ্লব। যারা ইসলামী শিক্ষাকে নিভিয়ে দিতে চায় তারাই নিভে যাবে। ইংরেজও টিকে থাকতে পারে নাই। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হচ্ছে কওমী সনদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বীকৃতি দেয়া।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাস্ঊদ বলেন, এদেশের কওমী মাদরাসাগুলো একটি মৌলিক অপরিবর্তনশীল, স্থায়ী এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি শিক্ষাব্যবস্থার ধারক। এ শিক্ষাব্যবস্থা কারো খাছে ধরনা দিতে পারে না; বরং সবারই কর্তব্য এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আপন করে নেয়া।
এআর