সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

একজন গুণী মানুষের কথা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা ওযীরুল ইসলাম মাসউদ

nejam_uddinএক জন শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ.। আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আজকের এই দিনেই আসর-মাগরিবের মধ্যবর্তী মুবারক মুহূর্তে শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ. ইহকাল ত্যাগ করে মহান মাওলার সান্নিধ্যে গমণ করেন।

হযরত ছিলেন পরিচ্ছন্ন মননের একজন অকৃত্রিম বড় মানুষ। বেশভূষামুক্ত, আলখাল্লাবিহীন, নিরহংকারী মানুষ। যার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিলো দ্বীন ও মানবতার কল্যাণে। প্রতিটি কথা ও কাজ ছিলো উদারতা, মমতা ও বিচক্ষণতায় ঘেরা। উস্তায, শাগরিদ, সহকর্মী, জনসাধারণ সবার প্রতি ছিলো উদারতাপূর্ণ আত্নিক মহব্বত। এমন এক বড় মানব, যার কাছ ভিড়তে পারতেন সবাই।

হযরতের সাথে বসা মানে বুদ্ধিদীপ্ত খোশগল্পে মেতে ওঠা। অতি সহজেই যে কাউকেই আপন করে নিতে পারতেন তিনি। শায়খুল হাদীস, রাজনীতিবিদ , সামাজিক ব্যক্তিত্ব, গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব- এসবগুলো গুণেই হযরত ছিলেন পূর্ণ গুণান্বিত।

তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত আমীর এবং আমৃত্যু বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমৃত্যু বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দায়িত্ব পালন সত্ত্বেও ইসলামপন্থী এবং কল্যাণমুখী সকল রাজনৈতিক দলের সাথে তার ছিলো উদার উঠা-বসা। আল্লাহর যমীনে আল্লাহর রাজ কায়েমে, খেলাফত প্রতিষ্ঠায় জীবনভর যিনি আন্দলনে-সংগ্রাম করেছেন, তার মৃত্যু ও হয়েছে খেলাফতের স্টেজে, খেলাফতের পথে, আল্লাহর মাহবুব উলামায়ে কেরামের কোলে মাথা রেখে-সুবহানাল্লাহ!

মাওলার সাথে বান্দার আত্নিক সম্পর্ক কতটুকু গভীর হলে, হক্বুল ইবাদে একজন মানুষ কতটুকু পরিচ্ছন্ন হলে এমন সৌভাগ্যপূর্ণ মৃত্যুর অধিকারী হতে পারেন, তা মহান আল্লাহই ভালো জানেন। মত্যুকালে হযরতের বয়স ও ছিলো নবীজি স: এর ওফাতের বয়স অনুপাতে ৬৩ বৎসর বয়সে।

হযরত ৫ ছেলে এবং ২ মেয়ে রেখে গেছেন। হযরতের ছেলেগণ যথাক্রমে- হাফিজ মাওলানা শিহাবুদ্দীন সাকিব (ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ বাহুবল), হাফিজ মাওলানা নুরুদ্দীন রাগীব (মুহাদ্দিস, হামিদনগর মাদরাসা বাহুবল), হাফেজ মঈনুদ্দীন আরিফ, জামালুদ্দীন তারেক এবং বদরুদ্দীন নকীব।

হযরতের দুই মেয়ে যথাক্রমে আলেমা সাফওয়ানা নাহিদা ও আলেমা সায়িমা নাবিলা। মৃত্যুকালে হযরত দুই ভাই রেখে গেছেন। হযরতের বড় ভাই জনাব মাওলানা জালালুদ্দীন এবং ছোট ভাই জনাব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দীন।

মহান রাব্বুল আলামীন শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ. কে জান্নাতের উচ্চ মাক্বাম দান করুন এবং হযরতের জীবিত পরিবার-পরিজনকে এবং আমাদেরকে সবরে জামীলের সাথে দ্বীনের পথে, মাওলার রেজামন্দীতে কাজ করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ