সামিউর রহমান পিয়াল
আজ কামরাঙ্গির চর মাহফিলে গিয়ে জানতে পারলাম এ নিকৃষ্ট কথাটা। লজ্জার কথা।
মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীর গংরা স্বাধীনতার পর কে এদেশের শত্রু আর কে মিত্র তা নির্ধারণ করার ঠিকাদারি নিয়েছেন।
হাফেজ্জী হুজুর রহ. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এ লড়াই ‘জালেমের (পাক বাহিনীর) বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই’। কিন্তু বাম আর নাস্তিকদের দালালরা এ সত্যকে মানতে নারাজ। তাই তারা হাইকোর্টে দেশের সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে দেয়ার রিটে হাফেজ্জী হুজুরের মত আল্লাহর ওলীর নামও অন্তুর্ভুক্ত করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীর গংরা প্রমাণ করেছেন তারা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শত্রু তো বটেই দেশের স্বাধীনতারও শত্রু।
অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট রিট থেকে হাফেজ্জী হুজুরের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশ, জাতি ও ইসলামের শত্রু চিহ্নিত নাস্তিক-মুরতাদদের নামে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো থেকে তাদের নাম মুছে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় হাফেজ্জী হুজুরের নাম প্রকাশ গোটা জাতিকে অপমানের শামিল! দেশের সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মুছে ফেলার হাইকোর্টের নির্দেশে যুগশ্রেষ্ঠ বুজর্গ, এদেশের মানুষের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ও আধ্যাতিক নেতা মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর নাম দেখে অবাক হতে হয়।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় হাফেজ্জী হুজুরের নাম ‘স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের তালিকায়' এদেশের গণমানুষের ধর্মীয় রাহবার, আলেমকূল শিরোমণি মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ (হাফেজ্জী হুজুর) রহ. এর নাম আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
অথচ প্রকৃত সত্য হলো এই যে, যুদ্ধচলাকালীন সময় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই।’ হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর এই বক্তব্যে বহু মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
শেখ মুজিব থেকে শুরু করে জিয়াউর রহমান, এরশাদ এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও হাফেজ্জী হুজুর রহ. শ্রদ্ধার পাত্র।
জেনে রাখা ভালো যে, বর্তমান সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মাননীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখায় হাফেজ্জী হুজুর রহ.কে গত ১০ এপ্রিল ২০১৪ ইং তারিখে মরেণোত্তর সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেছেন।
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আজ যারা হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর নাম স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় প্রবেশ করিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তারা অর্বাচিন ও ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ।
ঘাদানিক নেতা শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন গংরা ইসলাম ও আলেমসমাজের সুনাম ও গৌরবময় ইতিহাস সহ্য করতে না পেরে তাদের অবদান অস্বীকার করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।
[গোলাপ শাহ'র মাজার থেকে বঙ্গবাজারের রাস্তা তার নামে...]
আরআর