আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা গণ হত্যার স্থায়ী সমাধান এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়, দ্রুত সঙ্কট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণসহ সরকার ও আলেমদের মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা জরুরি মনে করছেন ঢাকার যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মহাপরিচালক, মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর, গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদের খতিব, শাইখুল হাদিস আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
বুধবার দুপুরে তিনি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুবকে একান্ত আলাপে বলেন, মিয়ানমারে চলমান জঘন্য গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ চলছে। নারী- শিশু ও অসহায় মানুষকে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও হত্যা বন্ধ করতে স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়াও খুব জরুরি।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক আবেদন নিয়ে এ দেশের ওলামায়ে কেরাম এগিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তি, দল বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আলেমরাই মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে সামান্য বিষয় নিয়ে মায়া কান্না দেখালেও, দেশীয় বা আর্ন্তজাতিক কোন মানবাধিকার সংগঠন রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি টিম বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে জরুরি কথা বলা প্রয়োজন।
আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের উচিত হবে সরকারের সঙ্গে জরুরিভাবে সঙ্কট সমাধানে কথা বলা এবং বিশ্বনেতাদের কাছে পত্রের মাধম্যে বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসবার আহ্বান জানানো।
বাংলাদেশে অবস্থিত সব কয়টি দূতাবাসে চিঠি দেওয়ার কথাও বলেন এই আলেম।
গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদের খতিব, আল্লামা মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশে অবস্থানরত বৌদ্ধধর্মের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনার নিশ্চয় প্রচার করেন, বৌদ্ধধর্ম একটি মানব-মানবিক ধর্ম। এই ধর্মের প্রধানতম মন্ত্রই হলো, জীব হত্যা মহাপাপ। রোহিঙ্গার মানুষগুলো কী আপনাদের চোখে জীব নয়? তাদের নির্বিচারে হত্যা করা মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়? যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে অবস্থানরত বৌদ্ধধর্মের নেতারা কেন এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন না? কেন তাদের উপাসনালয় থেকে বিষয়টির নিন্দা জ্ঞাপন করছেন না?
এই গণহত্যা বন্ধে অগ্রসর ভূমিকা পালন করার জন্য বৌদ্ধধর্মের নেতার প্রতি অনুরোধ জানান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
আরআর
ইন্দোনেশিয়া কি বার্মার উপর চাপ তৈরি করতে পারবে?