۞ মুফতি মুহাম্মদ আরাফাত
মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ.! একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি আন্দোলন, একটি বিপ্লব, একটি আদর্শ। হাফেজ্জীর পরশে হয়েছেন এক আলোকউজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর লিখনী ছিল খুরধার, বক্তব্যে ছিল অগ্নিঝরা হুংকার। কাঁপতো বাতিলের মসনদ, ভাংতো অন্যায়ের হিমালয় পর্বত।
দরসের ময়দানে আদর্শ উস্তাদ, ইলমের বাগানে সুবাস ছড়ানো ফুটন্ত গোলাপ।
তিনি ছিলেন রুহবান ফিল লাইল, ফুরসান ফিন নাহার। রাতে জিকির মুখে প্রভুর দুয়ারের ভিখারি, দিনে তরবারি হাতে ময়দানের সিপাহী। কখনো কারাবরণ, কখনো সংসদ ভবন, কখনো গৃহবন্দীত্বের ২১ মাসের জীবন। কখনো হাইকোর্টে কুরআন হাতে, কখনো কাফনের কাপড় পরা রাজপথে। কখনো কুরআনের মজলিসে, কখনো জনতার কাছে কাছে। মালিকের কাছে অঝোরে কাঁদেন গোলামের করজোরে, তাগুতের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন সিংহের গর্জনে।
তিনি ছিলেন আপোষহীন, সত্য ও সততায় দ্যার্থহীন। বাতিলের কাছে তিনি বিদ্রোহী বিপ্লবী, সঙ্গী ও কর্মীদের কাছে সদা হাস্যজ্জ্বল মমতাময়ী।
তিনি দাঁড়িয়েছেন মজলুমের পাশে, সাহায্য নিয়ে গেছেন অসহায় গরিবদের কাছে। দিয়েছেন মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব। করেছেন জাতির অভিভাকত্ব।
তিনি থানভীর উত্তরসুরি, মাদানীর কন্ঠস্বর। হাফেজ্জীর প্রতিচ্ছবি, শাইখুল হাদিসের স্নেহের বর।
তিনি চেতনার বাতিঘর। খানকা থেকে যুদ্ধের ময়দান, হাদিসের মসনদ থেকে রাজনীতির মাঠ, কুরআন স্কয়ার থেকে জালিমের জিন্দানখানা সর্বস্তরে ছিল তার সরব পদচারণা। শৈশবে চেতনা, যৌবনে প্রেরণা, ১২-১২-১২তে জান্নাতে তার ঠিকানা।
লেখক: শিক্ষাসচিব, জামিয়াতুস সালাম ঢাকা মদিনাবাগ মাদরাসা
আরো পড়ুন: জনমনে ক্ষোভ; কী দেখানো হচ্ছে ‘সুলতান সুলেমানে’?
স্মরণে মুফতী ফজলুল হক আমিনী র.