আওয়ার ইসলাম: শীত মৌসুমের শুরুতে রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গ্যাস সংকটে সমস্যা হচ্ছে নিত্যদিনের রান্নাসহ গৃহস্থালীকর্মে। মহানগরীর অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে বিকেল অবধি গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। ফলে বাধ্য হয়ে রাতে অথবা কাকডাকা ভোরে দিনের রান্নার কাজ শেষ করছেন গৃহিণীরা।
কোনো দুর্ঘটনা বা বিপত্তির জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিনে জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে যতগুলো অভিযোগ এসেছে তার শতকরা ৭০ ভাগই গ্যাসের অস্বাভাবিক সরবরাহ সংক্রান্ত।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে উত্তরা ও গুলশানের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে মোট ১০টি টেলিফোনে অভিযোগের ৭টিই ছিল গ্যাসের অপ্রতুল সরবরাহ সংক্রান্ত। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের কেন্টিনেও গ্যাস সরবরাহ নেই বলে অভিযোগ এসেছে। এছাড়া লালমাটিয়া, উত্তরা, ইব্রাহিমপুর, ডিওএইচএস, বসুন্ধরা, মিরপুর আলীবাগ, আশকোনা , ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ি, মেরাদিয়া, মান্ডা লালবাগ, আজিমপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের এ সংকট চলছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ির দনিয়ার গৃহিনী মুক্তা রানী দাস গত দুই তিন দিন যাবত সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার রাতের বেলায় শেষ করে রাখছেন। তিনি বলেন, সকাল বেলা গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে সামান্য পরিমাণ চায়ের জন্য পানি ফুটাতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। তাই নিরুপায় হয়ে রাতের বেলা রান্নার কাজ শেষ করে রাখছি।
ধানমন্ডির ফল ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, এলাকায় গত তিন চারদিন যাবত গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। সূর্য উঠার আগেই রান্না সেরে ফেলতে হয়।
গ্যাসের এ সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উত্তরা ও গুলশান জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্তব্যরত রেডিও অপারেটর আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিগত কিছুদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস স্বল্পতা সংক্রান্ত অভিযোগ আসছে’। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তবে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছর শীতকালে গ্যাস লাইনের পাইপে বরফ জমে গ্যাসের সরবরাহের গতি কমে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-বাখরাবাদ ও ঘোড়াশাল থেকে বছরের অন্যান্য সময়ে পাইপের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলেও এ সময় তা সম্ভব হয় না।
আরআর