আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান দমননীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি একটি বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে এ প্রতিবাদ শুরু করবেন।
জাতিসংঘ এরইমধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ এনেছে। তাদের বিরেুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ তোলা হয়। এবারের সংঘর্ষে রাখাইন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা ৮৬ জন বলে জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত ঘরহারা হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। পালাতে গিয়েও গুলি খেয়ে মরতে হচ্ছে তাদের।
যে শিশু সদ্য-ভূমিষ্ঠ হয়েছে, যে কখনও কোনওদিন সংঘর্ষে জড়ায়নি, তারও রেহাই মিলছে না। নির্বিচারি গুলি-মর্টার সেল আর ফাইটার জেটের হুঙ্কার। রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর সংঘটিত ওই নিধনযজ্ঞের (এথনিক ক্লিনজিং) প্রতিবাদে কুয়ালালামপুরে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৪ ডিসেম্বর সমাবেশটির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি জানিয়েছেন, সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সরকারি উচ্চপদস্থ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অন্যান্য নেতারাও সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।’
উল্লেখ্য, আরাকানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিপন্নতায় যে দেশগুলো সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছে মালয়েশিয়া তাদের অন্যতম। মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ওই সোসাইটি গঠন করেছে মালয়েশিয়া সরকার। আহমাদ জাহিদি বলেছেন, আরাকান প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে মালয়েশিয়া উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
এআর