আওয়ার ইসলাম: এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এবং একাত্তর টিভি’র সিইও মোজাম্মেল বাবুর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।
চ্যানেল আই সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর ‘মিডিয়া ইউনিটি’র এক সভায় মাহফুজুর রহমান এবং মোজাম্মেল বাবু ফরিদুর রেজা সাগরকে উদ্দেশ্য করে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য রাখেন। বাদীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং তার সহযোগী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি।
এ বিষয়ে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘যেহেতু মামলা হয়েছে। মামলা চলা অবস্থায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।’
তবে একই বিষয়ে মাহফুজুর রহমান এবং মোজাম্মেল বাবুর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা ক্লাবে মিডিয়া ইউনিটির এক সমাবেশে ফরিদুর রেজা সাগরকে `নব্য সাংস্কৃতিক রাজাকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। ফেসবুক এবং ইউটিউবে মাহফুজুর রহমানের সেই বক্তব্য ছড়িয়ে যায় এবং এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় মিডিয়া পাড়ায়। ওই অনুষ্ঠানে মাহফুজুর রহমান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে 'মানিলন্ডারিং' বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন ফরিদুর রেজা সাগরকে। ঠিক তার একদিন আগেই মানহানির মামলা দায়ের করলেন সাগর।
এদিকে ডাউনলিংক চ্যানেলের মাধমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আজ ৩০ নভেম্বর সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। আজ টেলিভিশন নাটকের সকল ধরনের শুটিং বন্ধ আছে বলে জানান আয়োজকরা এবং ২ ডিসেম্বরও সারা দেশে শুটিং করা থেকে বিরত থাকবেন তারা। ৩০ নভেম্বর পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে আসবে নতুন কর্মসূচি।
পাঁচ দফা দাবি
১. দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবিংকৃত বিদেশি সিরিয়াল বা অনুষ্ঠানের প্রচার বন্ধ করতে হবে।
২. টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বা এজেন্সির হস্তক্ষেপ ছাড়া চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
৩. টেলিভিশন শিল্পের সব ক্ষেত্রে এ.আই.টি’র ন্যূনতম ও যৌক্তিকহার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।
৪. দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে কাজ করতে হলে, সরকারের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহে নিবন্ধিত হতে হবে।
৫. ডাউনলিংক চ্যানেলের মাধমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে।
এআর