আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া বাকি অর্থ ফেরত দেবে না বলে ফিলিপিনের রিজাল ব্যাংক যে বিবৃতি দিয়েছে, বাংলাদেশ সেটাকে অপ্রাসঙ্গিক বলে বর্ননা করেছে।
ফিলিপিনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বাংলাদেশ ফিলিপিনের সরকারের মাধ্যমে ঐ ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রদূত জোন গোমেজ উল্লেখ করেছেন, ফিলিপিনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের যে তিনজন সিনিয়র আইনজীবী এই অর্থের বিষয়ে কাজ করছিলেন, তারা গত রাতে পদত্যাগ করেছেন বলে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে।
তিনি মনে করেন, ফিলিপিনের সরকার অর্থ আদায়ের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। ফলে বাংলাদেশ রিজাল ব্যাংকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবে না। তবে রিজাল ব্যাংক তাদের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই তাদের রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার কথা বলেছে। এই বক্তব্য মানতে রাজি নন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
জন গোমেজ বলেছেন,রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমেই চুরি যাওয়া অর্থ বের করে নেয়া হয়েছে।এটা প্রমাণ হওয়ায় তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন,বাংলাদেশ অর্থের দাবি থেকে সরে আসবে না এবং রিজাল ব্যাংকের বক্তব্যকে আমলে নিচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকে নেতৃত্বে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এখন ফিলিপিনে রয়েছেন।এমন সময়ই রিজাল ব্যাংক বিবৃতি দিয়ে অর্থ ফেরত না দেয়ার কথা বলেছে। এছাড়া ফিলিপিনের প্রেসিডেন্টের সাথে গত ২৮শে নভেম্বর বাংলাদেশ দলের আগের নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।
ফিলিপিনের দৈনিক ইনকোয়ারার পত্রিকার খবরে বল হয়েছে, প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে কোনো চাপ নিতে চাচ্ছেন না, সেকারণে বৈঠকটি বাতিল করা হতে পারে। তবে জন গোমেজ বলেছেন, ফিলিপিনের একটি শহরে জঙ্গীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে।
সে কারণে ফিলিপিনের প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ দল বুধবার ফিলিপিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণরের সাথে বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের ৮কোটি ১০লাখ ডলার ফিলিপিনে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশ ফেরত পেয়েছে। বাকি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডলার ফেরত পাওয়ার প্রশ্নে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে জন গোমোজ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা ছাড়ছে না।
সূত্র: বিবিসি
এফএফ