আওয়ার ইসলাম: নোট বাতিল ইস্যুতে ক্ষিপ্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি মরি কি বাঁচি, ভারতীয় রাজনীতি থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সরিয়ে দেবই।’ সোমবার কোলকাতার ধর্মতলায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি ওই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মমতা বলেন, ‘কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সারা দেশকে রসাতলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন। নগদ টাকার অভাবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।’
মমতা ‘ক্যাশলেস দেশ, ফেসলেস মোদি’ বলেও কটাক্ষও করেন। তিনি বলেন, ‘এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত পৃথিবীতে কখনও নেয়া হয়নি। মোদি এখন ভগবান হয়ে উঠতে চাইছেন।’
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গণঅবস্থান নেওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মমতা। তার অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা দেশে স্বৈরাচার কায়েম করেছেন। দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন। মানুষ কী খাবে, কী পরবে, কী বলবে, কী ফিল্ম তৈরি করবে, সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’
অন্যদিকে, নোট বাতিল ইস্যুতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে আজ বিভিন্ন বাম দলের ডাকা ভারত বন্ধে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল বন্ধের বিরোধিতা করায় কোলকাতাসহ গোটা রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।
কোলকাতায় আজ বামপন্থিদের পক্ষ থেকে নোট বাতিলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের প্রতিবাদে মিছিল করা হয়।
আজ জম্মুতে কংগ্রেস কর্মীরা আক্রোশ মিছিলের আয়োজন করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে।
দিল্লিতে ১০ টি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বনধের ডাক দেয়া হলেও ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি বনধের পথে যায়নি।
উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে সমাজবাদী পার্টি সমর্থকরা ট্রেন অবরোধ করে। ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতাসীন থাকায় এসব রাজ্যে বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি।
এবিআর