আওয়ার ইসলাম: ছাত্রলীগ নেতার ধারালো অস্ত্রের প্রহার থেকে খানেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা। হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে আজ বাসায় ফিরছেন। গেলো শনিবার তিনি এই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি তার সুস্থতার কথা জানান। পাশাপাশি সংবাদকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিচ তলায় খাদিজাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চলে আসেন তার চিকিৎসক। সেখানে হুইল চেয়ারে বসে কথা বলেন তিনি। দিন দুয়েক আগে বৃহস্পতিবার ভাই শরনান হক শাহীন নিজের ফেসবুক পাতায় খাদিজার একটি ছবি প্রকাশ করে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানান দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা বলেন, আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি, ভালো আছি। দোয়া করবেন, যেন ভালো থাকি। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। মিডিয়ার ভাইদের ধন্যবাদ, আপনারা আমার জন্য অনেক করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর জন্যও রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ। খাদিজার চিকিৎসক জানান, শনিবারই খাদিজাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে, তবে তিনি হাসপাতাল ছাড়বেন রোববার। আঘাতের কারণে এখনও অবশ হয়ে থাকা বাম হাত ও পায়ের চিকিৎসার জন্য সোমবার তাকে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা রয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে পথে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্কও বেশ খানেকটা জখম হয়।
খাদিজাকে হাসপাতালে আনার পর থেকে তার চিকিৎসার আদ্যোপান্ত সংবাদ সম্মেলনে জানান স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) মির্জা নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সিতে খাদিজার জিসিএস ছিল মাত্র ৫, সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় এবং বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হওয়ায় ইমার্জেন্সিতে তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (সিসিইউ) পাঠানো হয়।
ডা. নাজিম বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে খাদিজা অমানবিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল, সেই খাদিজাই এখন বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
এবিআর