সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

আল্লামা শফীর নেতৃত্বে স্বীকৃতি চাই; প্রয়োজনে সরে দাঁড়াবো: মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

farid_masudআবিদ আনাম: ‘আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে স্বীকৃতি হতে কোনো বাঁধা নেই, স্বীকৃতি হোক, ঐক্যের স্বার্থে প্রয়োজনে সরে দাঁড়াবো’ বলে মন্তব্য করেছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের কো চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আরও বলেন, নেতা তো আল্লামা আহমদ শফীই। তিনি কমিশনেরও চেয়ারম্যান, বেফাকেরও চেয়ারম্যান, হাটহাজারি মাদরাসারও মহা পরিচালক। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনিও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে কওমি সনদের স্বীকৃতির পথকে সুগম করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন বেফাকের প্রতিনিধিদল। আহমদ শফীর চিঠিতে চলমান কওমি কমিশন এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষানীতি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। কওমি কমিশন এবং শিক্ষা নীতিমালা বাতিল বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, এটি একটি হাস্যকর প্রস্তাব। যে কওমি শিক্ষা নীতিমালা এখনও পাস হয় নি, তা বাতিলের প্রশ্ন আসবে কেন। বাতিল তো করা হয় এমন জিনিস যা সরকার অনুমোদন করেছে।

কমিশন বাতিল বিষয়ে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, কমিশনের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী। তার নেতৃত্বেই কাজ চলছে। কমিশন বাতিল করার দাবিটি স্ববিরোধী।

আল্লামা আহমদ শফী চিঠিতে নিঃশর্ত কওমি সনদের স্বীকৃতি এবং শুধু দাওরায়ে হাদিসের মান এমএ সমমান করার প্রস্তাব করার বিষয়ে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, নিঃশর্ত বলাও একটি শর্ত। আমরা তো কেউ শর্ত সাপেক্ষে স্বীকৃতি চাচ্ছি না। কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা নষ্ট হয় এমন কোনো শর্ত আমরা মেনে নেবোও না। আর দাওরা হাদিস পড়তে হলে তো নিচের ক্লাসগুলোও পড়তে হবে। নিচের ক্লাসগুলো উত্তীর্ণ না হয়ে দাওরা হাদিস পড়াও যাবে না। সুতরাং দাওরা হাদিসের মান এমএর সমমান দেয়ার শর্ত ও আমাদের দাবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আল্লামা আহমদ শফী দা বা নিজ মতের উপর অবিচল থেকে স্বীকৃতি আদায়ের মিশনে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করবেন এই প্রত্যাশা করছি।

কয়েকদিন আগে কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের অফিস উদ্বোধন হয়েছে। কমিশনের সদস্য সচিব মাওলানা রূহুল আমিন অফিসের উদ্বোধন করেন। তখন সর্ব ভারতীয় মুসলমানদের শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ভারতের আজমিরে অবস্থান করছিলেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। কমিশনের অফিস কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অফিস উদ্বোধনের কী আছে, আগে থেকেই তো অফিস ছিলো। পুরনো অফিস নতুন করে শুরু হয়েছে এই আরকি। আমি এখনো যাইনি, যাবো।’

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ