আওয়ার ইসলাম: কুড়িগ্রামের উলিপুরে গ্রামীন সমাজের নারীদের ভাগ্য বদলেছে। টুপির উপর নকশা তৈরির মাধ্যমে বাড়তি আয়য়ের উপায় খুঁজে পেয়েছেন তারা। গৃহিনীরা সাংসারিক কাজ-কর্মের পাশাপাশি এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা লেখা-পড়ার ফাঁক-ফোঁকরে বাকি সময়কে কাজে লাগিয়ে নিপুন হাতে সুই-সুতা দিয়ে তৈরি করছে টুপি।
চুক্তিতে নেয়া এ সব টুপি প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নির্ধারিত শ্রমের মূল্য দিয়ে পাইকাররা ক্রয়করে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করছেন। এতে গ্রামীন নারীদের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এসব টুপি সেলম্যানরাই তাদের হাতে দিয়ে যাচ্ছেন, তাই তাদেরকে এ কাজে টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না বলে তারা উৎসাহের সঙ্গে কাজ করে শ্রমের মূল্য চুকিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলার দলদলিয়া ও থেতরাই ইউনিয়নের পাতিলাপুর ও খামার গ্রাম এখন টুপি তৈরির গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। অধুুনা এ গ্রামের টুপি তৈরির কাজটি আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২ ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার নারী এই কাজে নিজেকে নিয়জিত করে বাড়তি আয়য়ের উপায় খুঁজে নিয়েছেন। তারা নিপুন হাতে আকর্ষনীয় কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা তৈরী টুপি সরবারহ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।
এ কাজে বেশীরভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অভাবী পরিবারের মেয়েরা পড়া লেখার পাশাপাশি নিজেকে জড়িয়ে পড়ালেখার খরচ জোগাচ্ছে। তাদের সাথে কথা হলে এমনি নারী জোছনা বেগম, রুহেনা বেগম, মিনা বেগম ও মারুফাসহ বেশ কয়েক জন জানালেন, ভালো মানের একটি টুপি তৈরী করতে অনেক সময় লাগে। পাইকাররা এসে নগদ টাকায় নিয়ে যায়। নকশার প্রকার ভেদে পাইকাররা নারীদের কাছ থেকে টুপিপ্রতি সাড়ে ৪’শ থেকে ৬’শ টাকা পর্যন্ত শ্রমের মুল্য দিয়ে নিয়ে বিদেশে চড়াদামে তা বিক্রি করছে।
এবিআর