গাজী মোহাম্মাদ সানাউল্লাহ
টিভি অালোচক ও মাদরাসা শিক্ষক
মাওলানা অাবদুল জব্বার সাহেবের মৃত্যু মানতে একটু কষ্ট হচ্ছে। যদিও একথা চির সত্য, জীবন-মৃত্যু কেবল অাল্লাহরই হাতে। তবু মনটা যেন কেমন করে উঠে। বলতে চায়, তিনি অারও কটা দিন থেকে গেলে ভাল হত।
তার সারা জীবনের মেহনত ছিল, কওমি সনদের সন্মানজনক মান। এ বিষয়টা তো এখন একটি পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। তিনি যদি তার সপ্নের এ সফলতার বিষয়টি দেখে যেতে পারতেন! কতই না ভাল হত!
অাবার মনের কোনে একটি উৎকণ্ঠাও দানা বাঁধে। তার মত এমন নির্মল চরিত্র, নির্লোভ সত্তা অার অদম্য কর্মচঞ্চল অারেকটি মানুষকি খুব সহজেই অামরা পাব। জানি না। এর সঠিক উত্তর অামার জানা নেই। তবে একথা দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করা যায়, যে মানুষ যায়, তেমনটি অার অাসে না এ ধরায়।
যাই হোক, বেফাক অামাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। অাশা-প্রত্যাশা ও স্বপ্নের সবুজ ভূবন। বেফাকের প্রতিটি অঙ্গনে হজরতের অবদান অামরা অনুভব করি হৃদয় গভীর থেকে। পরিশেষে দেশের অগণিত মানুষের কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে অামিও বলব, বেফাকুল মাদারিসিল অারাবিয়ার প্রতি নিজ সন্তানোচিত যে মমতাবোধ নিয়ে মাওলানা অাবদুল জব্বার রহ. নিরলস খেদমত করেছেন- অামৃত্যু এটি অামাদের জন্য জীবনবোধের একটি অনন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে।
মহান রাব্বে কারিমের কাছে বিনম্র নিবেদন, এ লোকটিকে দুনিয়াতে অামরা কিছুই দিতে পারিনি। না সন্মান। না প্রতিদান। অারহামুর রাহিমিন যেন, তাকে জাযায়ে খায়ের দান করেন। জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মাকাম দান করেন। অামিন।
আরআর
বেফাককে তিনি শক্ত হাতে গড়ে তুলেছেন: আল্লামা আনোয়ার শাহ
সহবতকাঠিতে চিরনিদ্রায় মাওলানা আবদুল জব্বার