আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আমি খুব খুশি হতাম যদি অনুষ্ঠানে আসতে পারতাম। আফসোস লাগছে কেন আসলাম না। আশাকরি, ভবিষ্যতে আসব।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সুবর্ণ জয়ন্তী বক্তব্য দেন প্রফেসর ইমেরেটাস ড. আনিসুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে উচ্চশিক্ষিত জাতির প্রয়োজনীতার কথা ঊল্লেখ করে ধানমন্ত্রী জানান, ঘরের পাশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঢাকায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছি। প্রতিটি বিভাগেই করব। আগে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা অনেকগুলি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল, মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চাইল বলছি, অমুক জায়গায় করলে অনুমোদন পাবেন। সেভাবে তারা করছেন।
তিনি বলেন, আমরা বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত করে জাতিকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করতে চাই। কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। সেখান থেকে জামানত ছাড়া দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রেজাল্ট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ভর্তির আবেদন অনলাইনে নেয়া হচ্ছে। ২০০ রকম সেবা দিচ্ছি অনলাইনে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন মুখের কথা নয়। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করছি।
এফএফ