আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কিংবদন্তিতুল্য মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদীর ইন্তিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কওমি শিক্ষার বিস্তার ও মানোন্নয়নে মরহুম মাওলানা আবদুল জব্বারের ভূমিকা, অবদান ও ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কওমি মাদরাসা শিক্ষার জন্যে কাজ করে গেছেন। তাঁর ইন্তিকালে দেশের আলেম সমাজ ও ইসলামি শিক্ষার যেই বৃহৎ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
শুক্রবার সকালে আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী মরহুম মাওলানা আবদুল জব্বারের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং বেফাক কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ হযরতের ভক্তবৃন্দের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে বেফাক মহাসচিবের ইন্তিকালের খবর শোনার পর গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব এবং দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্যে কঠিন প্রতিকূল এই সময়ে বেফাক মহাসচিবের ইন্তিকালের ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। ইসলামি শিক্ষার বিরুদ্ধে নানামুখী কঠিন ষড়যন্ত্রের এই সময়ে উলামায়ে কেরামের ঐক্য ও মাদরাসা শিক্ষার স্বার্থে বেফাক মহাসচিবের ভূমিকা ও তৎপরতা ছিল অত্যন্ত প্রশংসিত।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বেফাক মহাসচিবের রুহের মাগফিরাত এবং শোকসন্তুপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে ধৈর্যধারণের মানসিক শক্তি লাভের জন্যে দোয়া করেন।
আরআর
আরো পড়ুন
চলে গেলেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার
বেফাক মহাসচিবের শেষ ইচ্ছে পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব
শায়েস্তা খাঁ থেকে হলি ফ্যামিলি; ইতিহাসে আগামী প্রজন্মের শপথ
চোখের পাতা নড়ছে না, শরীরে জমেছে পানি