আমিন আশরাফ: বেফাকের সহসভাপতি এবং জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের প্রিন্সিপাল মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বারের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথোপকথনে বলেন, তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালই ছিল। বেফাক নিয়ে কোনো জটিলতায় পড়লে তিনি সরাসরি কিশোরগঞ্জে এসে পরামর্শের জন্য আসতেন। আমিও যথাসধ্য চেষ্টা করে তার সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি।
দেশের অনেক আলেম সময়ে সময়ে বেফাক বোর্ডের প্রতি উদাসীনতা দেখালেও মরহুম মাওলানা আবদুল জব্বার তাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বেফাকের প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একটা সময় বেফাকের কিছুই ছিল না, ছিল না একটা অফিসও। তিনি সবাইকে নিয়ে শ্রম দিয়ে বেফাককে আজ এক বিশাল প্রতিষ্ঠানের রূপ দিয়ে গেছেন। তার সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে বেফাককে তিনি শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন। বেফাকের জন্য এটাই তার সবচেয়ে বড় অবদান যা অস্বীকার করলে তার প্রতি চরম অবিচার করা হবে।
বেফাককে ধরে রাখতে গিয়ে তিনি বারবার সমস্যার শিকার হয়ে মহাসচিবের পদ হারিয়েছেন, আমি দায়িত্বশীলদের সবাইকে বুঝিয়ে, বক্তৃতা দিয়ে তাকে তিনবার স্ব-পদে বহাল করেছি।
এই তো সেদিনও তিনি আরজাবাদের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে মুফতি ওয়াক্কাস সাহেব এসেছিলেন কিশোরগঞ্জে। সেদিনও তাঁকে চরম অসুস্থ দেখাচ্ছিল। সেদিন তিনি বলে গিয়েছিলেন, বেফাকের মতো এ বিশাল প্রতিষ্ঠানের বোঝা আমি আর বহন করতে পারছি না। আপনারা দয়া করে আমার বিষয়টা নিয়ে ভাববেন। সেই লোকটি আজ চলে গেল না ফেরার দেশে। মহান আল্লাহ তাঁর দারাজাত বুলন্দ করুন। তিনি বেফাকে অসামান্য অবদান রাখার আজীবন ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবেন।
আরআর