আওয়ার ইসলাম: বর্তমানে অবাধ স্বাধীনতার যুগ হলেও নানা অজুহাতে বিশ্বের অনেক দে ইসলামি পোশাককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন এবং ঠুনকো। ইসলামি পোশাকের এসব নিষেদাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা সমালোচনাও কম হয়নি। হয়েছে আন্দোলনও। কিন্তু কিছু দেশ ও স্থানে এখনো নিষিদ্ধ ইসলামি পোশাক। এই নিষিদ্ধের তালিকায় এগিয়ে থাকা কয়েকটি অঞ্চলের কথা জেনে রাখুন।
বেলজিয়াম
২০১১ সাল থেকে বেলজিয়ামে বোরকা নিষিদ্ধ। সেখানকার আইন অনুযায়ী বোরকা পরলে জরিমানাসহ ৭ দিনের জেলও হতে পারে। উত্তর পশ্চিম ইউরোপের এদেশটিতে এখনো এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
স্ট্রাভাপুল, রাশিয়া
রাশিয়ার স্ট্রাভাপুল শহরে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন লোকের বাস। এর ১০ শতাংশ মুসলমান। যদিও এর সংখ্যা অনেক বেশি তবুও এই শহরের সব স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডস এখনও বোরকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি কিন্তু এর প্রক্রিয়া চলছে। সেই সাথে আইন না মানলে থাকছে উচ্চ অর্থদণ্ড।
ক্যামেরুন
২০১৫ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের ২টি আত্মঘাতী হামলার পর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সরকার পুরো মুখ ঢেকে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে। ওই হামলা দুটোয় ১৩ জন নিহত হয়।
রেওস, স্পেন
২০১৪ সালে রেওস শহরে বোরকা ও হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও স্পেনের সংবিধানে থাকা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিয়ম অনুযায়ী এই আইন কাজ করবে না।
ফ্রান্স
ইউরোপে সর্বপ্রথম ফ্রান্স বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৫ সালে প্রায় ১৫০০টি অর্থদণ্ডের ঘটনা ঘটে বোরকা পরার কারণে।
চাদ
২০১৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর চাদে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সিরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
সিরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০১০ সাল থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আছে বোরকা ও হিজাবের ওপর।
আরআর