শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’

১৬৯ ভিআইপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

dudakআওয়ার ইসলাম: ১৬৯ ভিআইপি আসামির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুদক। সংগঠনের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় এ  নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশ্লিষ্ট দপ্তর চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে তালিকাভুক্ত আসামির নাম ও ঠিকানাসহ বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখা, এসবি ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের দপ্তরে দফায় দফায় চিঠি পাঠাচ্ছে। দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

সূত্র জানায়, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে উপপরিচালক মো. ইব্রাহিমের স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক চিঠিতে বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার আরো ১৮ আসামির নামের তালিকা প্রশাসনের ওই সব শাখায় পাঠানো হয়, যার ১৭ জনই ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে মেসার্স ভয়েস এন্টারপ্রাইজের এমডি সৈয়দ হাসিবুল গনি গালিব ও পরিচালক সৈয়দ রাজিয়া বানুর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই দিনে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয় মেসার্স ইউকে বাংলা ট্রেডিং লি. চেয়ারম্যান আহমেদ তাজ উদ্দিন, পরিচালক মো. মুস্তাকুর রহমান ও বেসিক ব্যাংকের জিএম আবদুল মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে।

১৬ কোটি ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করা হয় রিলায়েন্স শিপিং লাইনের মালিক আসিফ ইকবাল ও ইউনিক সার্ভে সার্ভিস ব্যুরোর সার্ভেয়ার ও পার্টনার মো. সিরাজুল ইসলামের নামে। একই তারিখে ৭৪ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মতিঝিল থানায় ইমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লি. চেয়ারম্যান সৈয়দ মনোয়ারুল ইসলাম, পরিচালক এএসএম মনিরুল ইসলাম, পরিচালক সুজন কুমার বসাক ও পরিচালক অমিতাভ ভৌমিকের নামে মামলা হয়।

৭০ কোটি ৭০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা হয় আর কে ফুডস লি. এমডি মো. আব্দুল কুদ্দুস, পরিচালক রানী বেগম, কামরুল হাসান, রাশেদুল হাসান ও সার্ভেয়ার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ৫২ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৫ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় মেসার্স টেলিওয়েজ ইন্টারন্যাশনালের এমডি শওকত আজিম ও চেয়ারম্যান রিজিয়া বেগমকে।

এর আগে ইউসিবিএলের সাবেক ৯ কর্মকর্তা, জনতা ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তা, রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, তিতাসসহ মোট ১৫১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ওই ১৫১ আসামি হলেন, বেসিক ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এমডি কাজী ফখরুল ইসলাম, সাবেক এমডি একেএম সাজেদুর রহমান, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এসএম ওয়ালিউল্লাহ, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি (গুলশানের) জাহিদ হাসান, সাবেক ব্যবস্থাপক মহিবুল হক। (চট্টগ্রামের) ডিএমডি মো. সেলিম, (গুলশানের) সাবেক ডিজিএম শিপার আহমেদ, ডিএমডি ফজলুস সোবহান ও প্রধান শাখার জিএম জয়নাল আবেদীন চৌধুরী। (শান্তিনগরের) সাবেক শাখা প্রধান মোহাম্মদ আলী, ডিএমডি কনক কুমার পুরকায়স্থ, এসএভিপি সরোয়ার হোসেন, সাবেক ডিজিএম মো. মোজাম্মেল হোসেন, এডিএম শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, ডিজিএম কোরবান আলী, জিএম গোলাম ফারুক খান, (দিলকুশা) সাবেক ব্যবস্থাপক পলাশ দাশগুপ্ত, জিএম খন্দকার শামীম হাসান।

বেসিক ব্যাংকের ব্যবসায়ী আসামিদের মধ্যে আছেন, মেসার্স বি আলম শিপিং লাইনসের মালিক মো. বশিরুল আলম, আমিরা শিপিং এজেন্সির মালিক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মেসার্স বীথি এন্টারপ্রাইজের মালিক কামরান শহীদ, মেসার্স নীল সাগর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.ও মেসার্স পারুমা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক আহসান হাবিব লেনিন, মেসার্স আলী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাহবুবুল আলম, এসডি সার্ভে ফার্মের ম্যানেজিং পার্টনার ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, নিউ অটো ডিফাইনের মালিক আসমা খাতুন, মেসার্স সৈয়দ ট্র্রেডার্সের ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গনি, পরিচালক সুলতান আহমেদ, এসডি সার্ভে ফার্মের চিফ সার্ভেয়ার ও পার্টনার মো. ফারুক, রূপসা সার্ভেয়ার্সের চিফ সার্ভেয়ার ও ম্যানেজিং পার্টনার শাহজাহান আলী, মেসার্স নাহার গার্ডেন প্রাইভেট লি. এমডি সাইফুল ইসলাম, মেসার্স নাহার গার্ডেন প্রা.লি. চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, সিমেক্সের এমডি রাশেদুল হাসান, সিমেক্সের পরিচালক নুসরাত জাহান (ঝুমু), আইএইচএস ইন্সপেকশন সার্ভিস (বিডি) লি. এমডি খন্দকার গোলাম মোস্তফা, পিএসআর সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার জসিম উদ্দিন চৌধুরী, দেশ পরিদর্শন কোম্পানির মালিক শফিকুল ইসলাম শিমুল, বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বকরী, পিলুসিড টেক্সটাইলের নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক ও মফিজুল ইসলাম।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ