আওয়ার ইসলাম: নিজেদের মধ্যে প্রথম টেলিফোনালাপে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীরণের’ উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আবাসিক দপ্তর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
সোমবার প্রেসিডেন্ট পুতিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর জন্য তাকে ফোন করলে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প ও পুতিন ‘ব্যক্তিগত বৈঠকে’ বসতে এবং টেলিফোনে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হন। দু’জনই স্বীকার করেন, রুশ-মার্কিন সম্পর্ক বর্তমানে চরম অসন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে এবং তা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে কার্যকর যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।
টেলিফোনালাপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সমতা, পারস্পরিক সম্মান এবং পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে আমেরিকার নয়া প্রশাসনের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠা করতে নিজের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও উগ্রবাদকে তারা এক নম্বর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে সমন্বিত যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সিরিয়ার চলমান সংঘর্ষ বন্ধের বিষয়েও ট্রাম্প ও পুতিন কথা বলেন।
আমেরিকার সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পুতিন ট্রাম্পের প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময় ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন একাধিকবার অভিযোগ করেন, রিপাবলিকান প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য আমেরিকার নির্বাচনে কারচুপি করতে চায় রাশিয়া। হিলারি আরো বলেছিলেন, হোয়াইট হাউজে একজন ‘পুতুল প্রেসিডেন্ট’কে দেখতে চান পুতিন।
সূত্র: পার্স টুডে
এফএফ