আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গুলীতে ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত ও বহু লোক আহত হওয়ার নির্মম ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মিয়ানমারে মুসলমানদের হত্যা ও বহু লোককে আহত এবং শত শত ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে মুসলমানদের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও শামিল। আর মুসলমানরা যখন বাঁচার জন্য ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করে তখন তাদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গী আখ্যায়িত করতে দ্বিধা করে না। কোথায় জাতিসংঘ? কোথায় মানবাধিকার সংস্থা? রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা কি তাদের বিবেককে তাড়িত করে না?
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত এ হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল। মিয়ানমার সরকার দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নিরস্ত্র ও নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গুলী বর্ষণ করে তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। সরকার দীর্ঘদিন থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, গত তিন যুগ আগে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছিল। তাদের আজ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার দেশে ফিরিয়ে নেয়নি। সাম্প্রতিক সেনাবাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪ শত রোহিঙ্গা মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।
এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এগিয়ে আসার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই জাতিসংঘ ও আইসি এবং সকল আন্তর্জাতিক মানবতাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরআর