মোস্তফা ওয়াদুদ : গতবছরে এপ্রিল মাসে রাষ্টধর্ম রক্ষার দাবীতে আন্দোলন করে দেশের ইসলাম পন্থি দলগুলো। সরকার বেকায়দায় পড়ে আদালতের মাধ্যমে রাষ্টধর্ম ইসলাম হিসেবে বহাল রাখে। এ ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত রায় দেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এরপরপর চলে গেছে প্রায় কয়েক মাস। সম্প্রতি গত শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাকের একটি মন্তব্যে আবার আলোচনায় আসে বিষয়টি। তিনি বলেছেন, সুযোগ পেলে আমরা রাষ্টধর্ম ইসলাম তুলে দিবো। বিষয়টি নিয়ে আবারও পানি ঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে দেশখ্যাত সরকারদলীয় ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা কি ভাবছেন তাই জানতে চেয়েছিলাম।
সরকারদলীয় সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, আদালত যে বিষষয়কে একবার রায় প্রদান করেছে। সে বিষয়ে পুনরায় কিছু করার জন্য আদালতের দারস্থ হতে হবে। আদালতের মাধ্যমেই সে বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে।
হাটহাজরী মাদরাসার শায়খে ছানী আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। ইসলাম এদেশের মানুষের প্রাণের ধর্ম ইসলাম। সংখ্যাধিক্য মানুষের চাহিদাকে বাস্তবায়ন করার জন্য দেশীয় সর্বোচ্চ আদালত ইসলামকে রাষ্টধর্ম হিসেবে রায় দিয়েছে। সুতরাং সুযোগ পেলে রাষ্টধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার হুমকি সুস্পষ্ট রাষ্ট্রবিরোধী। আদালত অবমাননা করার শামিল।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াহইয়া মাহমুদ চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেছেন, ড. আব্দুর রাজ্জাককে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। তিনি এমন কথা বলার মানুষ না। তবে যদি তিনি এমন কোনো কথা বলে থাকেন তাহহলে আমি আশাবাদী তিনি তার কথা প্রত্যাহার করবেন।
এফএফ