আওয়ার ইসলাম: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। শেখায় অনেক সবক । নিত্য দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালচক্রে রূপ নেয় ইতিহাসে। নন্দিত-নিন্দিত যা আছে তার সবই ঠায় পায় ইতিহাসে। জায়গা করে নেয় মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদও।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য আজকের এই আয়োজন ইতিহাসের এই দিনে।
ইতিহাসের এই দিন
১৩ নভেম্বর ২০১৬, রোববার। ২৯ কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।
এক নজরে
ঘটনাপ্রবাহ
• ১৮০৫ - ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে নেয়।
• ১৮৩৫ - মেক্সিকোর কাছে থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে টেক্সাস।
• ১৮৭২ - সাপ্তাহিক ‘সমাজ দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
• ১৯২১ - যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের মধ্যে প্যাসিফিক চুক্তি হয়।
• ১৯৫০ - ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট সি. দাইগাদো কালবাউন্দ নিহত হন।
• ১৯৭০- তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) ইতিহাসের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্ৰায় পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
• ১৯৮৫ - কলম্বিয়ায় আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
• ১৯৮৯ - আকস্মিক ধ্বসে পশ্চিমবঙ্গের রাণীগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ জন শ্রমিক আটকে পড়ে। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।
ব্যক্তিত্ব
• ১৮৪৭ - সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম। কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়ার সন্তান মীর মশাররফের বাবা ছিলেন জমিদার মীর মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে কলকাতার কালীঘাট স্কুলে ভর্তি হন; কিন্তু লেখাপড়া খুব একটা হয়নি।ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১) ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র (১৮৬৩) মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখান থেকেই তার সাহিত্য ও গল্প জীবনের শুরু। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি একে একে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি খ্যাতি লাভ করেন তার ‘বিষাদ-সিন্ধু’ উপন্যাসের জন্য। ১৯১২ সালে তার মৃত্যু হয়।
• ১৮৫০ - স্কটিশ কথাসাহিত্যিক লুইস স্টিভেনসনের জন্ম।
• ১৯০৭ - ইংরেজ কবি ফ্রান্সিস টমসনের মৃত্যু।
• ১৯২১ - লেখক অশোক বড়ুয়ার জন্ম।
• ১৯৪৮ - নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্ম। নেত্রকোনার কুতুবপুরের সন্তান হুমায়ূনকে বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম মনে করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করা হুমায়ূন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন, তবে লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে একসময় তা ছেড়ে দেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন শতাধিক। হুমায়ূনের সৃষ্ট ‘হিমু’, ‘মিসির আলি’, ‘শুভ্র’ ও ‘বাকের ভাই’ চরিত্রগুলো দেশের তরুণশ্রেণীকে আজও গভীরভাবে উদ্বেলিত করে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। সেসময় পাকিস্তানি বাহিনী তাকেও ধরে নিয়ে কিছুদিন আটকে রেখে দৈহিক নির্যাতন চালায়। হুমায়ূন রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘নন্দিত নরকে’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’ ইত্যাদি। তার নির্মিত অন্যতম চলচ্চিত্র - ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। সাহিত্য সংস্কৃতিতে অনন্য অবদানের জন্য হুমায়ূন জিতেছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
• ১৯৬৭ - বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলার জন্ম।
এ বি আর