আওয়ার ইসলাম : গত বৃহস্পতিবার বিকালে আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র জামেয়া ইসলামিয়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার পরিচালক, উত্তর বঙ্গ বেফাকের সভাপতি মাওলানা রূহুল আমীন। তিনি আল্লামা শফীকে গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয় নতুন প্রজ্ঞাপন জারি ১৭ সদস্যের কমিশন সচল করার অনুরোধ করেন। জবাবে আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, গত ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড- বেফাকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করবে এবং তাঁর হাতে আমার চিঠি হস্তান্তর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে চিঠি দেওয়ার পর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ১৭ সদস্যের কমিশনের বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরা হবে। আওয়ার ইসলাম এসব কথা জানিয়েছেন আল্লামা শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ।
আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সময় চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা কিছু জানাননি।
তবে কমিশনরে সদস্য সচিব মাওলানা রুহুল আমিন ভিন্ন একটি প্রস্তাব দেন আল্লামা শফীকে। সেটা হলো কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রশ্নে দেশের বৃহত্তম কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের বাইরে এসে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে শাহ আহমদ শফীকে অনুরোধ করেন।
আল্লামা আহমদ শফী বলেন, তিনি উম্মুল মাদারিস পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এবং বেফাকের সভাপতি। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর পক্ষে কতটা ঠিক হবে? এ সময় আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, কওমি সনদের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কয়েকজনে মিলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে উপজেলা-জেলা পর্যায় থেকে সব স্তরের কওমি মাদ্রাসা প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে এবং আলেমদের স্পষ্ট মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, যাছাই-বাছাই, চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং ঐকমত্যে পৌঁছা ছাড়া সনদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন ইসলামের প্রতিকূলে। আর যে কোন ভুল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের মুসলমান, আলেম সমাজ ও ইসলামী শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে, দায়িত্বশীলদের এটা মাথায় রাখতে হবে।
এফএফ