সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

চা উৎপাদনে ১৬২ বছরের রেকর্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

tea আওয়ার ইসলাম:  কার্তিকের শেষে বৃষ্টির পরম আমেজে  সিলেটের চা-বাগানগুলো সজীব হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে তিন-চারদিনের বৃষ্টি ছিল চা-বাগানের জন্য বাড়তি অর্জন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই বৃষ্টি চা-বাগানের জন্য এক বড় আশীর্বাদ। তবে আশার কথা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে দেশে চা উৎপাদনে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে ৮০ মিলিয়ন কেজি উৎপাদনের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। গত মৌসুমে ৬৭ দশমিক ৩২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদেনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। এবার শুধু সেই রেকর্ডই অতিক্রম হচ্ছে তা নয়-এবার দেশের চা-শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ টি বোর্ড-এর অধীন চা-বাগান ব্যবস্থাপনা কোষ’ এর জিএম মো. শাহজাহান আকন্দ গণমাধ্যমকে জানান, ‘চলতি চা-উৎপাদন মৌসুমে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মিলিয়ন কেজি বেশি উৎপন্ন হয়েছে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এক কোটি ২০ লাখ কেজি বেশি চা-উৎপাদন হয়েছে। এবারের উৎপাদনের রেকর্ড ভঙ্গ সম্পর্কে ঐ কর্মকর্তা বলেন, চা অত্যন্ত সংবেদনশীল ফসল। এর জন্য অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি। এবার প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, সঠিক তাপমাত্রা ছিল। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ছিল না। বিশেষ করে এবার খরামুক্ত ছিল বাগানগুলো। ফলে এবার চায়ের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর চলতি চা-উৎপাদন মৌসুম শেষ। এই সময়ের মধ্যে চা-শিল্পে আবহাওয়াজনিত কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। আশা করছি এবার দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮০ মিলিয়ন কেজি চা-পাওয়া যাবে।’ এতে বাগানের শ্রমিকরাও বেশ খুশি। সমনবাগ চা-বাগানের শ্রমিক বধুভূমিজ, শান্তু নায়েকসহ অনেকেই বললেন, ‘বাগান আমাদের মায়ের মত। বাগানই আমাদের সব। বাগান ভালো থাকলে,  আমরাও ভালো থাকি।’

 

১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগান। ১৮৫৪ সালে দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা-উত্পাদন শুরু হয় এই বাগানে। সারা দেশের ১৬২ টি চা-বাগানের মধ্যে সিলেটেই আছে ১৩৮টি। এর মধ্যে বেশিরভাগ চা-বাগান মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে। আর কিছু বাগান রয়েছে সিলেট ও হবিগঞ্জে। এবার শুধু সিলেটে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন কেজি চা-উত্পাদন হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৪ মিলিয়ন কেজি বেশি। অর্থাত্ গত বছর সিলেটে চা-উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন কেজি।

 

শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৪৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা  হয়েছে। যা চা শিল্পের জন্য খুবই উপকারী। চা বিশেষজ্ঞরা এ বৃষ্টিপাতকে চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ মনে করেন। এবার সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের পেছনে অনুকূল আবহাওয়া যদিও বড় কারণ ছিল। তারপরও চা-চাষ সম্প্রসারণ, সময়মত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সর্বোপরি চা-বোর্ডের নজরদারি এবং ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এবার সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হচ্ছে।
এ বি আর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ