আওয়ার ইসলাম: কোন বাধা বিপত্তি নয় সরাসরিই আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলেন দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র জামেয়া ইসলামিয়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার পরিচালক, উত্তর বঙ্গ বেফাকের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন।
১০ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদরাসায় আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে আওয়ার ইসলাম একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে।
সাক্ষাতের সূচনা পর্বে আল্লামা আহমদ শফীর উন্মুক্ত দরজায় পৌঁছে মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, মুফতি রুহুল আমীন (দা.বা.) হুজুরের সাথে মুসাফাহার জন্যে হাত দিয়েই বলে উঠলেন, “হুজুর! আমি আপনার শাগরেদ, আপনি আমার উস্তাদ। উস্তাদের কাছে শাগরেদ আসতে আগে খবর দেওয়া লাগে না, আগে বলে আসার জরুরত হয় না।তাই আমি ফোন দিয়ে বা খবর দিয়ে আসিনি। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে নেমে কারো সাথে কথা না বলে সোজা হুজুরের কামরায় চলে আসলাম”।হুজুর একের পর এক ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠে মুফতি রুহুল আমীন সাহেবের দিকে তাকিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। মুফতি সাহেব এসব কথা শেষ করা পর্যন্ত মুসাফাহারত হুজুরের হাত ধরে ছিলেন।
(আল্লামা আহমদ শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদের ফেসবুক ওয়াল থেকে)
তবে প্রকাশিত ছবি বলছে অনেক কথা। চেনাজানা আল্লামা আহমদ শফীর গাম্ভীর্য মুখ নয়, তিনি মুচকি হাসছেন শাগরেদ মুফতি রুহুল আমীনের আচমকা আগমনে। তবে কী কথা হলো দুজনের?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, সরকারের সর্বশেষ সক্রিয় করা কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন সচল করা এবং দ্রুত বৈঠকের বিষয়ে দুজনের জরুরি কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের নানা বিষয়ে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল গঠিত ১৭ সদস্যের মেয়াদ ৩ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয় নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করে। কমিশনে আল্লামা আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ কো-চেয়ারম্যান, মাওলানা রুহুল আমিন সদস্য সচিব।
এফএফ