সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

মধ্যপ্রাচ্য নীতি যেমন হবে ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

trump8আওয়ার ইসলাম: উনিশ শতকের শেষ দিকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতি চালুর পর পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান হবে সবচেয়ে অনিশ্চিত।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু ইস্যুতে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন। অনেক সময় তিনি স্ববিরোধী অবস্থানও নিয়েছিলেন।

এরপরও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি কেমন হবে তার একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক গিলবার্ট আছকার। আলজাজিরার সৌজন্যে এর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

১. সিরিয়া
প্রথমত, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী হবে সিরিয়ার মানুষ। খ্রিস্টান ছাড়া সিরীয় শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ রাখার ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারণায় স্পষ্ট করে বলেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের এই নীতির নেপথ্যে ছিল তার ইসলামভীতি।

ট্রাম্প সিরীয় শরণার্থীদের জন্য সিরিয়ার মধ্যেই একটি 'সেইফ জোন' করার পক্ষে বলে আসছেন। আর ওই 'সেইফ জোন' ব্যবস্থাপনার খরচ দিতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের।

দ্বিতীয়ত, সিরীয় ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। এক্ষেত্রে সিরীয় বিদ্রোহীদের চেয়ে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকেই কম ঝুঁকি মনে করছেন তিনি। আসাদকে তিনি মেনে নেবেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

২. 'স্ট্রং ম্যান' সমর্থক নীতি
নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার 'স্ট্রং ম্যান' সমর্থক নীতি অনুযায়ী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কোন্নয়ন করবেন।

৩. ইরান নীতি
পরমাণু চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়ে ইরানের সঙ্গে বৈরিতার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে আঙ্কারা, কায়রো এবং রিয়াদকে নিয়ে মার্কিন সমর্থিত 'সুন্নি ট্রায়াঙ্গাল' তৈরিতে সৌদিকে প্রলুব্ধ করতে পারেন তিনি।

অবশ্য এক্ষেত্রে তেহরানের সঙ্গে মস্কো ও দামেস্কের সম্পর্ক গুটিয়ে ফেলতে তিনি কতটুকু সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এটা অনেকটা চীন নিয়ে ট্রাম্পের বৈশ্বিক ভাবনার মতো অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

৪. ফিলিস্তিন
ট্রাম্পের অধীনে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক 'স্ট্রং ম্যান' বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হবে। ফলে এই রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে ফিলিস্তিন।

ট্রাম্প ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে বোঝাপড়ার বিষয়ে নেতানিয়াহুকে এমন স্বাধীনতা দেবেন যা প্রয়াত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন পরবর্তী ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর কেউ পায়নি।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ