আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সম্প্রতি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপসানালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন দাবি জানিয়ে বলা হয়, কাবা শরীফের অবমাননা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা দেশ ও দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। মুসলমানদের পবিত্রতম ধর্মীয় স্থান কাবা শরীফের অবমাননা কোনভাবেই বরদাশস্ত করা যায় না। একই সাথে এ ধরনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনাও কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ হামলার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ সুদীর্ঘকাল থেকে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। এ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্যাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে কোন নিরপরাধ মানুষ যাতে গণগ্রেফতার বা জুলুম-নির্যাতনের শিকার না হয় সে ব্যাপারে সকর্ত থাকতে হবে। একজনের অপরাধের কারণে অন্যজন যাতে জুলুমের শিকার না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে নায়েবে আমীর নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক এমকে জামান, শেখ গোলাম আসগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুন্তাসির আলী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক- অধ্যাপক আবদুল হালিম, মাওলানা নোমান মাযহারী, অর্থ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক- এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক কে এম আলম, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসনে, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
বৈঠকে আগামী ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৯ম অধিবেশন বাস্তবায়নের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরী শাখা সফরসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরআর