আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নাসিরনগরের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন না করে অনুমান নির্ভর হয়ে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেয়া সঠিক হবে না।
তিনি দেশের সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সদ্ব্যবহার ও ভ্রাতৃত্বসূলভ আচরণের মাধ্যমে ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে অম্লান রাখার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস কর্তৃক পবিত্র কাবাঘরের ছবির ওপর শিবমূর্তি পেষ্টিং করার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বিচলিত জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ক্ষোভের সহিংস প্রতিবাদ কাম্য নয়।
তিনি বলেন, কাবা শরীফের উপর শিবমূর্তি স্থাপন করে পোষ্ট না দিলে এধরনের ঘটনা ঘটতো না। সুতরাং সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য ধর্ম নিয়ে কটুক্তি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত লোকজন প্রতিশোধ স্পৃহা চরিতার্থ করার কাজে অবতীর্ণ হতে পারে না।
ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, পৃথিবীর প্রথম মৌলিক মানবাধিকার চুক্তি বলে খ্যাত মদীনা সনদণ্ডে অমুসলিমদের ধর্ম-দর্শন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণ হস্তক্ষেপমূক্ত রাখা হয়েছে। তিনি এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এসব সিন্ডিকেটিভ কর্মকান্ডের লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। বর্তমান পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই বিশেষ মহল এ অপকর্ম করেছে, যা উদঘাটন করা সরকারের দায়িত্ব।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতিবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
আরআর