আওয়ার ইসলাম: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সাম্প্রতিক সময়ে দূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানকার দূষণ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ১২ গুণ শোচনীয়। আর এ কারণে আজ শনিবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে রাজধানীর এক হাজার ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নয়াদিল্লির শহর কর্তৃপক্ষের পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৯ লাখের মতো শিক্ষার্থী।
গত সপ্তাহান্তে দিওয়ালি উৎসবের পর থেকের ধোঁয়াশায় (ধোঁয়া ও কুয়াশা) ঢেকে গেছে নয়াদিল্লি। শহরে দূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্যমতে, শহরের বায়ুতে ‘পার্টিকুলার ম্যাটারের’ পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে এক হাজার ২০০ মাইক্রোগ্রাম, যার নিরাপদ মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ২০০ মাইক্রোগ্রামের ১২ গুণ।
দূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থার মতে, এমন দূষিত পরিবেশে থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মুখপাত্র জগেন্দ্র মান বলেন, ধোঁয়াশার কারণে আজ শনিবার থেকে মিউনিসিপ্যালের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে স্কুল স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
দ্রুত নগরায়নের ফলে দিল্লিতে বেড়েছে ডিজেলচালিত ইঞ্জিনের ব্যবহার। একই সঙ্গে গড়ে উঠেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানা। এগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়ায় দিল্লির বাতাস ধীরে ধীরে দূষিত হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে গত দিওয়ালি। গত রোববারের ওই উৎসবে নগরজুড়ে লাখ লাখ বাজি পোঁড়ানো হয়। এক রাতের মধ্যেই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো শহর।
এমন বাস্তবতায় গতকাল শুক্রবার প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সেখানে দূষণ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
গত সোমাবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ভারতে বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ছয় লাখ শিশু মারা যায়। ম্যালেরিয়া এবং এইডসের মৃতের সংখ্যার চেয়েও এই হার বেশি।
সূত্র: এন টিভি
এফএফ